২০১০ সালে আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের কোচ ছিলেন মারাদোনা। কিন্তু বিশ্বকাপ জিততে পারেননি মেসিরা। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জয়ের পরে লিয়োনেল মেসি মনে করছেন, দিয়েগো মারাদোনার হাত রয়েছে তাঁদের জয়ের পিছনে। স্বর্গ থেকে মারাদোনার আশীর্বাদ তাঁদের সঙ্গে রয়েছে বলেই এতটা দূরে আসতে পেরেছেন তাঁরা।
ম্যাচ শেষে মেসি বলেছেন, ‘‘মারাদোনা আমাদের স্বর্গ থেকে দেখছেন। ওঁর আশীর্বাদেই আমরা এত দূর এসেছি। আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন উনি। আশা করছি, শেষ পর্যন্ত এই আশীর্বাদ আমাদের সঙ্গে থাকবে।’’ সেমিফাইনালে উঠে তাঁরা কতটা স্বস্তি পেয়েছেন তাও জানিয়েছেন মেসি। তিনি বলেছেন, “লাউতারো গোলটা করার সময় প্রচণ্ড আনন্দ হয়েছিল। মনে হচ্ছিল বুক থেকে একটা বিরাট ভার নেমে দিয়েছে। দেশের সমর্থকদের সঙ্গে আমরা উল্লাস করেছি। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। সমর্থকরাও খুব খুশি।”
কোয়ার্টার ফাইনালে নামার আগে মারাদোনার কন্যা দালমাও জানিয়েছিলেন, মারাদোনা দলের সঙ্গেই রয়েছেন। বুয়েনোস আইরেস থেকে ভিডিয়ো বার্তায় আর্জেন্টিনা দলকে জেতার জন্য কাতর অনুরোধ জানিয়েছিলেন দালমা। তিনি বলেছিলেন, “লিয়ো, তোমাদের নিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখছি। বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফিরতেই হবে। মনে রেখো, বাবা কিন্তু তোমাদের উপর থেকে দেখছেন। এই আর্জেন্টিনার দ্বাদশ ব্যক্তি দিয়েগো মারাদোনা। নিজেদের উজাড় করে দাও। নেদারল্যান্ডস তোমাদের সামনে হার মানতে বাধ্য হবে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, বাবার অফুরন্ত শক্তি ভর করুক তোমাদের উপরে।”
শুধু মারাদোনা-কন্যাই নন, আর্জেন্টিনাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন কার্লোস বিলার্দো। ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলের কোচ এখনও জানেন না, তাঁর প্রিয় শিষ্য এই গ্রহ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। শারীরিক কারণেই তাঁকে সেই খবর দেওয়া হয়নি। তিনিও মুখ খুলেছেন। আর্জেন্টিনার এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিলার্দো বলেছেন, “এখনও পর্যন্ত মেসিরা যে ফুটবল খেলেছে, তা বুঝিয়ে দিয়েছে বিশ্বকাপ জেতা কতটা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে ওদের কাছে। আমি মনে করি, মাঠে নেমে বিপক্ষকে বাড়তি সমীহ করার প্রয়োজন নেই। নিজেদের স্বাভাবিক ছন্দ ধরে রাখতে পারলেই অনায়াসে ম্যাচ জিতবে আর্জেন্টিনা।”