মাঠে যে বিয়ার পাওয়া যাবে না তা নয়। কিন্তু তাতে অ্যালকোহল থাকবে না। ফাইল ছবি
কাতার সরকারের নির্দেশে শেষ মুহূর্তে স্টেডিয়ামে বিয়ার বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। কিন্তু গোটা ঘটনাকে খাটো করতে দেখতে চাইলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। পাত্তাই দিতে চাইলেন না। সাফ জানিয়ে দিলেন, এই সিদ্ধান্ত বিশ্বকাপের প্রধান সমস্যা হতে পারে না।
শনিবার দোহায় সাংবাদিক বৈঠক করেন ফিফা সভাপতি। সেখানে জানান, যদি এটাই তাঁদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়, তা হলে বিয়ার পাকাপাকি ভাবে বন্ধের চুক্তিতে সই করেই দেবেন। এখানেই না থেমে তিনি বলেছেন, “স্টেডিয়ামে বিয়ার বিক্রি করা সম্ভব কিনা, তা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা চেষ্টা করেছি। তা সত্ত্বেও বলব, তিন ঘণ্টা বিয়ার না খেলেও সবাই বেঁচে থাকবেন। এই কারণেই হয়তো ফ্রান্স, স্পেন, স্কটল্যান্ডে স্টেডিয়ামে মদ বিক্রি করা নিষিদ্ধ। হয়তো ওরা আমাদের থেকে বেশি বুদ্ধিমান। তাই জন্যেই এই কাজ করেছে।”
মাঠে যে বিয়ার পাওয়া যাবে না তা নয়। কিন্তু তাতে অ্যালকোহল থাকবে না। ফিফা ফ্যান ফেস্টিভ্যালেই অ্যালকোহল-যুক্ত বিয়ার পাওয়া যাবে। এ ছাড়া নির্বাচিত কিছু হোটেলে বিয়ার ছাড়াও হুইস্কি, রাম, ওয়াইন পাওয়া যাবে। স্টেডিয়ামে বিয়ার বিক্রির অনুরোধে কাতার সরকার প্রথমে রাজি হলেও শুক্রবার হঠাৎই তারা ঘুরে দাঁড়ায়। ফিফাও বিবৃতি জারি করে সিদ্ধান্ত বদলানোর কথা জানায়। এই সিদ্ধান্তে শুধু সমর্থকরাই নন, ক্ষুব্ধ বিয়ার উৎপাদনকারী সংস্থাও। বিপুল আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছে তারা। শোনা যাচ্ছে, ফিফার সঙ্গে চুক্তি বাতিলও করতে পারে।
এত দিন পর্যন্ত ঠিক ছিল স্টেডিয়াম এবং ফ্যান-জ়োনে বিয়ারের অস্থায়ী দোকানগুলি থেকে খেলার শুরুর আগের এবং পরের ৩০ মিনিট বিয়ার বিক্রি করা হবে। স্টেডিয়াম চত্বরের নির্দিষ্ট জায়গায় বিয়ার পান করে গ্যালারিতে প্রবেশ করতে পারবেন ফুটবলপ্রেমীরা। খেলা দেখার টিকিট থাকলে তবেই স্টেডিয়াম চত্বরে বিদেশি নাগরিকেরা বিয়ার কিনতে পারবেন। এক জন চার গ্লাসের বেশি বিয়ার কিনতে পারবেন না। সম্ভাব্য অশান্তি এড়াতেই বিয়ার পানের ক্ষেত্রেও সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু রাজপরিবারের নতুন দাবিতে সেই ব্যবস্থাও বন্ধ হয়েছে।
এমনিতে কাতারে মদ বা মদ জাতীয় পানীয় নিষিদ্ধ। রাজধানী দোহার হাতেগোনা কয়েকটি বিলাসবহুল হোটেলের ভিতর মদ্যপান করার অনুমতি রয়েছে। মূল শহরের আট কিলোমিটার দূরে একটি মাত্র মদের দোকান করেছে। কর্মসূত্রে কাতারে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের কাছে অনুমতিপত্র থাকলে তবেই তাঁরা সেই দোকান থেকে মদ কিনতে পারেন। রাস্তায় বা গাড়িতে বসে মদ্যপান করা যায় না। পান করতে হয় বাড়িতে নিয়ে গিয়ে।