আমেরিকার বিরুদ্ধে ভাল খেলতে পারেনি ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয় হ্যারি কেনদের। —ফাইল চিত্র
আমেরিকার বিরুদ্ধে বিরক্তিকর ফুটবল খেলেছে ইংল্যান্ড। ইরানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে যে রকম খেলেছিল দল, শুক্রবার তার ধারেকাছে যেতে পারেননি হ্যারি কেনরা। খেলা শেষে মাঠেই সমর্থকদের ব্যঙ্গের মুখে পড়তে হয়েছে ইংল্যান্ডের ফুটবলারদের। ব্যঙ্গাত্মক শিস্ দিয়েছেন ইংরেজ সমর্থকরা। সমালোচনার মুখে পড়ে জবাব দিয়েছেন ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে সাউথগেটকে সমর্থকদের ব্যঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাই আমাদের সমর্থকরা হাসিমুখে বাড়ি যান। আমাদের সমর্থকরা আনন্দ করতে করতে বাড়ি যান। কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি। তাই সমর্থকরা এ রকম আচরণ করেছেন।’’
সমর্থকরা সমালোচনা করলেও তার প্রভাব ফুটবলারদের উপর পড়বে না বলেই মনে করেন সাউথগেট। তিনি বলেন, ‘‘খারাপ ফল হলে তো সমর্থকরা রাগ করবেনই। তবে তাতে দলের ফুটবলারদের কিছু হবে না। মাঠে অনেক আওয়াজ ওঠে। ফুটবলারদের কাজ হল নিজের খেলার দিকেই নজর রাখা। মাঠের বাইরে কী হচ্ছে, সে দিকে আমরা খেয়াল রাখি না।’’
তবে শুধু সমর্থকরা নন, ইংল্যান্ডের খেলা দেখে বিরক্ত দলের ফুটবলারদের স্ত্রী, বান্ধবীরাও। গ্যালারিতে বসে কেউ ঘন ঘন হাই তুলেছেন, কেউ নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন মোবাইল ফোনে। তাঁরা সকলেই ইংল্যান্ড ফুটবল দলের খুব কাছের। কাইল ওয়াকার, জ্যাক গ্রিলিস, জর্ডন পিকফোর্ড, বুকায়ো সাকাদের স্ত্রী, বান্ধবীরাও বিরক্ত হলেন তাঁদের খেলা দেখে। গ্যালারিতে বসে যেন তাঁদের সময়ই কাটছিল না। দলের জয় দেখতে সকলেই এসেছিলেন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে। আশা ছিল, আমেরিকাকে হারিয়ে সাউথগেটের দল বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের ছাড়পত্র নিয়ে মাঠ ছাড়বে। তা তো হলই না। বরং গোটা ম্যাচে বিরক্তিকর ফুটবল উপহার দিলেন হ্যারি কেনরা।
ম্যাচের কোনও সময়ই দেখে মনে হয়নি জিততে পারে ইংল্যান্ড। আমেরিকার দাপট ছিল অনেক বেশি। পারফরম্যান্স এতটাই অনুজ্জ্বল ছিল যে তাঁদের স্ত্রী, বান্ধবীরাও যেন ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার অপেক্ষা করছিলেন। সকলের চোখেই অবিশ্বাস, বিরক্তির ছাপ ছিল স্পষ্ট। কারও মনই ছিল না খেলায়। আমেরিকার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের খেলার সমালোচনা করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কেউ কেউ সতর্কও করে দিচ্ছেন, অঘটনের বিশ্বকাপ বলে। স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ফুটবলারদের স্ত্রী, বান্ধবীদের হতাশা, বিরক্তির ছবি সমালোচকদের আরও ইন্ধন যোগাচ্ছে।