রেফারির নির্দেশের পরে কৌন্ডের গলা থেকে সোনার হার খুলে নিচ্ছেন ফ্রান্সের সহকারী কোচ। ছবি: রয়টার্স
পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে সোনার হার পরে খেলতে নেমে দলের কোচের রোষের মুখে পড়েছেন ফ্রান্সের ফুটবলার জুলস কৌন্ডে। দিদিয়ের দেশঁ জানিয়েছেন, তিনি জানতেন না যে কৌন্ডে সোনার হার পরে খেলতে নেমেছেন। জানলে সেটা কখনওই হতে দিতেন না তিনি।
খেলা শেষে দেশঁ সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে বলেছেন, ‘‘হার পরে ওর খেলা উচিত হয়নি। আমি জানতাম না যে ও হার পরে আছে। আমি জানি ও একটু কুসংস্কারে বিশ্বাসী। অনুশীলনেও হার পরে খেলে কৌন্ডে। আমি জানি না, হারের গুরুত্ব ওর কাছে কতটা। কিন্তু আমি যদি আগে থেকে দেখতে পেতাম তা হলে ওর কপালে দুঃখ ছিল।’’
খেলার শুরু থেকেই সোনার হার পরেছিলেন কৌন্ডে। ৪১ মিনিটে রেফারি জেসুস ভালেনজুয়েলা নির্দেশ দেন হার খুলে রাখতে। রেফারির নির্দেশের পরে কৌন্ডের হার খুলে নেন ফ্রান্সের সহকারী কোচ। কিন্তু তাঁকে মাঠে কেন সোনার হার পরে নামতে দেওয়া হল এবং এত ক্ষণ খেলতে দেওয়া হল, সেটা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। এই ঘটনায় ফিফা চাইলে শাস্তিও দিতে পারে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কৌন্ডের বিষয়ে কিছু বলেনি ফিফা।
ফুটবলের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ফুটবলার এমন কিছু সঙ্গে নিয়ে বা পরে নামতে পারবেন না যা অপরের কাছে বিপজ্জনক। যে কোনও ধরনের গয়না (হার, আংটি, ব্রেসলেট, কানের দুল, চামড়ার ব্যান্ড, রাবার ব্যান্ড ইত্যাদি) পরে নামা নিষিদ্ধ। এমনকি, কোনও বস্তু দিয়ে সেই গয়না আড়াল করাও যাবে না। মাঠে নামার আগে প্রত্যেক ফুটবলার এবং পরিবর্ত ফুটবলারকে পরীক্ষা করবেন রেফারি। যদি কোনও ফুটবলার অস্বীকৃত কোনও গয়না পরে নামেন, তা হলে রেফারি তাঁকে সেটি খুলে রাখার নির্দেশ দিতে পারেন। যদি ফুটবলার ইচ্ছুক না হন তা হলে তাঁকে সতর্ক করা হতে পারে কার্ড দেখিয়ে।