ব্রাজিলের রক্ষণ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ রয়েছে। ফাইল চিত্র।
শেষ ষোলোর লড়াইয়ে নামার আগে ব্রাজিলের রক্ষণকে দক্ষিণ কোরিয়ার গতি ও প্রতিআক্রমণ থেকে সাবধান করে দিচ্ছেন সে দেশের ফুটবল কিংবদন্তী টোস্টাও। পেলের সঙ্গী হয়ে তিনি নিজে ঘুম কেড়ে নিতেন বিপক্ষের ডিফেন্ডারদের। সেই টোস্টাও দক্ষিণ কোরিয়ার থেকে সাবধান করে বলছেন, ‘‘নক-আউট পর্বে ছোট দলগুলো যেটা করে, তা হল আট-ন’জন মিলে ঘিরে জায়গা ছোট করে দেওয়া এবং তার পরেই প্রতিআক্রমণ। জাপান ও কোরিয়া গতি দিয়ে এটা বারবার করেছে।’’
ব্রাজিল রক্ষণের অবশ্য চিন্তিত হওয়ার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। কারণ নির্ভরযোগ্য মার্কুইনহোসকে চোটের জন্য পাওয়া যাচ্ছে না। দানিলোর খেলতে পারলে খুবই ভাল বলে মনে করছেন টোস্টাও। তবে তাঁরও চোট রয়েছে। আবার, অ্যালেক্স স্যান্ড্রোকে পাওয়া যাবে না দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ম্যাচে। তাই ব্রাজিল কোচ তিতেকে লেফট-ব্যাক নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে বলে মনে করছেন টোস্টাও।
ব্রাজিল রক্ষণ নিয়ে এমন উদ্বেগের জন্যই দলকে সতর্ক করছেন টোস্টাও। শনিবারের আর্জেন্টিনা-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের কথা মনে করিয়ে বলছেন, আর্জেন্টিনার মতো বড় প্রতিপক্ষের সামনেও অস্ট্রেলিয়া সুযোগ তৈরি করেছিল। একবার গোল পাওয়ার খুব কাছেও চলে গিয়েছিল। কিন্তু সেই সুযোগকে গোলে রূপান্তরিত করতে পারেনি প্রতিআক্রমণে গতি ছিল না বলে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রে তেমনটা হবে না বলেই মনে করছেন টোস্টাও। কারণ দক্ষিণ কোরিয়া ইতিমধ্যেই গতিময় ফুটবল উপহার দিয়েছে এই বিশ্বকাপে।