পেনাল্টি নিয়ে ক্ষোভ রয়ে গিয়েছে ক্রোয়েশিয়ার। ছবি: রয়টার্স
সেমিফাইনালেই শেষ হয়ে গেল ক্রোয়েশিয়ার দৌড়। গত বারের ফাইনালিস্টরা মঙ্গলবার রাতে ০-৩ গোলে হেরে যায় আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই ম্যাচে লিয়োনেল মেসিরা একটি পেনাল্টি পান। সেটি নিয়েই ক্ষুদ্ধ ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ়াটকো দালিচ। মানতে পারছেন না লুকা মদ্রিচও। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মেসি। পরে আরও দু’টি গোল করেন ইউলিয়ান আলভারেস।
প্রথম ৩০ মিনিট ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের দখল নিয়েছিল বলে দাবি কোচ দালিচের। কিন্তু পেনাল্টিটাই সব নষ্ট করে দেয়। দালিচ বলেন, “সব কিছু আমাদের হাতে ছিল। প্রথম ৩০ মিনিট আমরা ভাল খেলছিলাম। বলের দখল ছিল আমাদের পায়ে। আমরা দুরন্ত ফুটবল খেলছিলাম, সেটা হয়তো নয়। কিন্তু ম্যাচের উপর দখল ছিল আমাদেরই। সেই সময় আমরা একটা গোল খাই। যেটা খুবই সন্দেহজনক। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে পেনাল্টি দেওয়া হয়। খুব খারাপ সিদ্ধান্ত। ওই সিদ্ধান্তের সততা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আমাদের গোলরক্ষক নিয়ম মেনেই যা করার করেছে। ওই পেনাল্টি থেকে গোলটাই ম্যাচের ফল পাল্টে দিল।”
কোচের সঙ্গে সহমত মদ্রিচও। ওই ম্যাচের রেফারি ড্যানিল ওরসাতোকে তুলোধনা করেছেন তিনি। মদ্রিচ বলেন, “আমি রেফারি নিয়ে সাধারণত কিছু বলি না। কিন্তু এই ম্যাচের পর না বলে থাকতে পারছি না। আমার দেখা সব থেকে জঘন্য রেফারি। শুধু এই ম্যাচ নিয়ে বলছি না, আগেও এই রেফারি আমাদের ম্যাচ খেলিয়েছে। কোনও ভাল স্মৃতি নেই ওর সম্পর্কে। ও একটা জঘন্য রেফারি। আর্জেন্টিনাকে অভিনন্দন। ওদের কোনও ভাবেই ছোট করা যাবে না। ফাইনালে যোগ্য দল হিসাবেই ওরা উঠেছে। কিন্তু প্রথম পেনাল্টিটা আমাদের সব শেষ করে দিল।”
আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচের সময় লাল কার্ড দেখানো হয় দালিচের সহকারী মারিয়ো মাঞ্জুকিচকে। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে পেনাল্টি দেওয়ার পর আপত্তি জানান তাঁরা। সেই সময় মাঞ্জুকিচকে মাঠ থেকে বার হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন রেফারি। মাঠের মধ্যে পেনাল্টি নিয়ে যে অসন্তোষ ছিল ম্যাচের পরেও সেটা নিয়ে মুখ খুললেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ। ০-৩ গোলে হারলেও দালিচ মনে করছেন ওই পেনাল্টিটাই তাঁর দলের মনঃসংযোগ নষ্ট করে দিয়েছিল।