রোনাল্ডোর কাটআউট ঘিরে তুমুল আগ্রহ কেরলে। ফাইল ছবি
লিয়োনেল মেসি, নেমারকেও ছাপিয়ে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের তারকা ফুটবলারের কাটআউট তৈরি করা হয়েছে কেরলে। মেসির কাটআউটের উচ্চতা ৩০ ফুট। তাই দেখে ব্রাজিল ভক্তরা নেমারের ৪০ ফুটের কাটআউট বানিয়েছেন। সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছেন রোনাল্ডো তথা পর্তুগালের ভক্তরা। তাঁরা ৪৫ ফুটের কাটআউট তৈরি করেছেন। কেউ কেউ আবার বলছেন, সেটি ৫০ ফুট উচ্চতার। যে পুল্লাভারুর নদীতে মেসি, নেমারের কাটআউট রয়েছে, সেখানেই লাগানো হয়েছে রোনাল্ডোর কাটআউটও।
তবে কেরলের আগেই বাংলায় দেখা গিয়েছে এই ঘটনা। কয়েক বছর আগে কলকাতায় এসেছিলেন প্রয়াত দিয়েগো মারাদোনা। তাঁকে নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল শহরে। বিধায়ক সুজিত বসুর উদ্যোগে মারাদোনার একটি পূর্ণাবয়ব মূর্তি এখনও বসানো রয়েছে লেকটাউনে। প্রতি বছর মারাদোনার জন্মদিন ধুমধাম করে পালিত হয়।
রোনাল্ডোর কাটআউটের তলায় ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘এক জনই রাজা’। এই কাটআউটটি তৈরি করা হয়েছে প্লাইউড, প্লাস্টার অফ প্যারিস এবং কাঠ দিয়ে। সমর্থকেরা জানিয়েছেন, এটি তৈরি করতে খরচ পড়েছে ৫০ হাজার টাকা। কেরলের সমর্থকদের ফুটবল উন্মাদনা চোখ এড়ায়নি ফিফারও। তারাও এই ছবি টুইট করেছে। তার উত্তরে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন লিখেছেন, “কেরল এবং কেরলবাসী বরাবরই ফুটবল ভালবাসে। কাতার বিশ্বকাপের আগে সেটা আরও ভাল ভাবে দেখা যাচ্ছে। এই খেলার প্রতি আমাদের উন্মাদনাকে সম্মান জানানোর জন্য ফিফাকে অনেক ধন্যবাদ।”
এ দিকে, কেরলের এক আইনজীবী নদীতে এই কাটআউট লাগানোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, এতে নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বাধা পাবে। তবে কোঝিকোড়ের কোদাভাল্লু মিউনিসিপ্যালিটি জানিয়েছে, এই কাটআউট নিয়ে কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই। ফলে সেগুলি থাকবে।
লিয়োনেল মেসি জানিয়েই দিয়েছেন, তাঁর জীবনের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নামছেন কাতারে। লিয়ো তাঁর স্বপ্নপূরণ করতে পারেন কি না, তা নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে। তেমনই ব্রাজিলও কাপের খরা মেটানোর লক্ষ্যে রয়েছে নেমারের দক্ষতার উপরে ভর করে। দু’দেশের দ্বৈরথ নিয়ে যে এখন থেকেই কতটা আগ্রহ তৈরি হয়েছে, তা বলে দিচ্ছে কেরলের নদীতে ভক্তদের লড়াই।এর মধ্যেই আবার পর্তুগালের ভক্তরা নদীতে বসিয়ে দিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর বিশাল কাটআউট।