মেসি-এমবাপের কার ক’টি গোল স্থান পেল? ফাইল ছবি
বিশ্বকাপের ফাইনালে দেখা যেতে চলেছে ধুন্ধুমার যুদ্ধ। মুখোমুখি হচ্ছেন লিয়োনেল মেসি এবং কিলিয়ান এমবাপে। ট্রফি কার হাতে উঠবে, সেটা সময়ই বলবে। কিন্তু বিশ্বের সেরা মঞ্চে নিজেদের চেনাতে কেউই বাকি রাখেননি। দু’জনেরই নামের পাশে রয়েছে পাঁচটি করে গোল। ফলে দুই তারকা মিলিয়ে মোট ১০টি গোল ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপ দেখে নিয়েছে। ফাইনালে যদি কেউ গোল করতে না পারেন, তা হলে বেশি অ্যাসিস্ট দেওয়ার সুবাদে সোনার বুট পাবেন মেসি। যদি না পিছন থেকে অলিভিয়ের জিহু বা জুলিয়ান আলভারেসের কেউ এসে টপকে যান।
দুই তারকার মোট ১০টি গোলের মধ্যে থেকে সেরা পাঁচটি বেছে নিল আনন্দবাজার অনলাইন:
লিয়োনেল মেসি (বনাম মেক্সিকো)
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে খেলতে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে আসে সেই মুহূর্ত। ডান দিকে থাকা অ্যাঙ্খেল দি মারিয়ার থেকে বল পেয়েছিলেন মেসি। বক্সের বেশ খানিকটা দূরে বলটা বাঁ পায়ে রিসিভ করেই চকিতে শট মারেন মেসি। বিপক্ষ গোলকিপার গিয়েরমো ওচোয়াকে পরাস্ত করে বল জড়িয়ে যায় জালে।
কিলিয়ান এমবাপে (বনাম অস্ট্রেলিয়া)
মাঠের ডান দিক থেকে ক্রস করেছিলেন ওসমানে দেম্বেলে। বক্সের মধ্যে এমবাপের ঘাড়ের কাছে ছিলেন লম্বা-চওড়া দুই অজি ডিফেন্ডার। তাঁদের টপকে লাফিয়ে হেড করে বল জালে ঢোকান এমবাপে। তাঁর মতো ছোটখাটো চেহারার ফুটবলারের পক্ষে সেই গোল বেশ কঠিন ছিল।
লিয়োনেল মেসি (বনাম অস্ট্রেলিয়া)
ডান দিকে পাওয়া একটি ফ্রিকিক থেকে শুরু হয়েছিল আক্রমণ। পাপু গোমেজ থেকে বল পান ম্যাক অ্যালিস্টার। তিনি পাস দেন বক্সে থাকা নিকোলাস ওটামেন্ডিকে। ওটামেন্ডির পা থেকে বেরিয়ে যাওয়া বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তিন অজি ডিফেন্ডারের পায়ের ফাঁক গলিয়ে নীচু শটে গোল করেন মেসি।
কিলিয়ান এমবাপে (বনাম পোল্যান্ড)
বক্সের বাঁ দিকে সামান্য বাইরে বল পেয়েছিলেন এমবাপে। তাঁকে মার্ক করার জন্যে কেউ ছিলেন না। ঠান্ডা মাথায় বল ধরে সপাটে শটে বিপক্ষ গোলকিপার উজসিয়েচ শেজেনি পরাস্ত করেন। শটের যা জোর ছিল, তা কোনও গোলকিপারের পক্ষেই বাঁচানো সম্ভব ছিল না। পরের গোলটিও প্রায় একই কায়দায় করেন এমবাপে।
লিয়োনেল মেসি (বনাম ক্রোয়েশিয়া)
মেসির পাঁচটি গোলের মধ্যে তিনটি এসেছে পেনাল্টি থেকে। সর্বশেষ গোলটি করেন ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে। বিপক্ষ গোলকিপার ডমিনিক লিভাকোভিচ আগের ম্যাচেই ব্রাজিলের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত খেলেছিলেন। মেসি আগে থেকেই লিভাকোভিচের দুর্বলতা জানতেন। তিনি পেনাল্টি স্পট থেকে বলটি রাখেন গোলের একদম উপরে কোণের দিকে। ঠিক দিকে ঝাঁপালেও লিভাকোভিচের কিছু করার ছিল না।