নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কমলাজার্সিধারিদের কোচ লুই ফান হালকে কটূক্তি করেন মার্তিনেস। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই বার বার বিতর্ক তৈরি হচ্ছে এমিলিয়ানো মার্তিনেসকে নিয়ে। কখনও তিনি পুরস্কার মঞ্চে ‘অশালীন’ করছেন, কখনও কিলিয়ান এমবাপের পুতুল নিয়ে ঘুরছেন ফ্রান্সের রাস্তায়। আর্জেন্টিনার গোলরক্ষকের আচরণ ভাল ভাবে নেয়নি ফ্রান্সও। তারা প্রতিবাদও জানিয়েছে। কিন্তু তাতে বিতর্ক কমছে না। মার্তিনেসও নিজের আচরণের কারণ জানিয়ে যাচ্ছেন। এ বার তিনি মুখ খুললেন নেদারল্যান্ডস ম্যাচে তাঁর আচরণ সম্পর্কে।
এ বারের বিশ্বকাপে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল নেদারল্যান্ডস এবং আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচ গড়িয়েছিল টাইব্রেকার পর্যন্ত। নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কমলাজার্সিধারিদের কোচ লুই ফান হালকে কটূক্তি করেন মার্তিনেস। দল জেতার পরে প্রথমে মাটিতে শুয়ে পড়তে দেখা যায় মার্তিনেসকে। তার পরে উঠে জার্সি খুলে ফেলেন তিনি। খালি গায়ে ছুটে যান নেদারল্যান্ডসের বেঞ্চের দিকে। তার পরে ফান হালকে উদ্দেশ করে কিছু বলতে থাকেন। মার্তিনেসের ঠোঁট লক্ষ্য করলে বোঝা যায়, অশ্লীল ভাষায় ফান হালকে গালাগাল দিচ্ছেন তিনি। তাঁকে সামলাতে থাকেন আর্জেন্টিনার এক সাপোর্ট স্টাফ। নেদারল্যান্ডসের বেঞ্চ থেকে তাঁকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যান তিনি।
এমন আচরণ করার কারণ জানিয়েছেন মার্তিনেস। তিনি বলেন, “ম্যাচের আগে খুব কথা বলছিল ওরা। ফুটবল আমাকে শিখিয়েছে যে, মাঠেই উত্তর দিতে হয়। নেদারল্যান্ডসের কোচ ম্যাচের আগে আমাদের অধিনায়ক লিয়োনেল মেসিকে অনেক কিছু বলেছিল। ফান হ্যাল বলেছিল টাইব্রেকার খেলা গেলে ওরা জিতবেই। যদিও মাঠে ফল অন্য হয়েছিল।”
মার্তিনেস সেই ম্যাচে টাইব্রেকারে দু’টি শট বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “ফান হ্যালের কথা আমার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিল। ও যা বলেছিল সেটার ছবি তুলে মোবাইলে রেখে দিয়েছিলাম। আমার গোলরক্ষক কোচ এবং মনোবিদের সঙ্গে কথা বলি। আরও অনুশীলন করি। আমাকে রাগিয়ে দিয়েছিল ওর কথা। চুপ করিয়ে দিতে চাইছিলাম ওদের।”
১৮ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ জিতে নেয় আর্জেন্টিনা। ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে দেন মার্তিনেসরা। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। লিয়োনেল মেসির স্বপ্নপূরণ হয়। আর্জেন্টিনার ফুটবল ভক্তরা মেতে ওঠেন মেসিদের নিয়ে। কিন্তু এর মাঝেই মার্তিনেসের আচরণ নিয়ে বিতর্ক চলছেই।