কোচের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে বিশ্বকাপের মাঝেই দেশে ফিরে গেলেন ক্যামেরুনের গোলরক্ষক। ছবি: টুইটার।
বিশ্বকাপের মধ্যেই দলের এক নম্বর গোলরক্ষককে তাড়িয়ে দিলেন কোচ। ঘটনাটি ক্যামেরুন দলের। কোচের কৌশল পছন্দ না হওয়ায় তাঁর নির্দেশ মতো খেলতে চাননি আন্দ্রে ওনানা। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে প্রথম তাঁকে নির্বাসিত করেন কোচ রিগোবার্ট সং। পরে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
ক্যামেরুন দল সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালেই দলের হোটেল ছেড়ে বিমানবন্দরে চলে যান ওনানা। দোহা থেকে তিনি প্যারিসের বিমান ধরেছেন। সেখান থেকে ফিরবেন ক্যামেরুনে। দলের হোটেল ছাড়ার আগে ওনানা টুইটে লিখেছেন, ‘‘সমস্যা সমাধানের জন্য সব রকম চেষ্টা করেছি। নিজের সব অভিজ্ঞতা উজাড় করে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু অপর পক্ষের কোনও আন্তরিকতা দেখিনি। আমি সব সময় দল এবং দেশের সাফল্যের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি এবং সম্মান করি।’’
ক্যামেরুন ফুটবল ফেডারেশনের কর্তারা বিষয়টি হালকা ভাবে নিচ্ছেন না। বিশ্বকাপের মধ্যে কোচের অবাধ্য হয়ে সমস্যা তৈরি করায় ওনানার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারেন তাঁরা। ক্যামেরুন ফুটবল সংস্থার প্রধান তথা প্রাক্তন ফুটবলার স্যামুয়েল এটো এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। ম্যাচের মধ্যে ওনানাকে প্রায়ই দেখা যায় গোল থেকে অনেকটা এগিয়ে এসে সতীর্থদের পাস দিতে। তাতে বিপদে পড়তে পারে দল। তাই রিগোবার্ট ও ভাবে খেলতে বারণ করেছিলেন। ওনানা শুনতে চাননি। ম্যাচের আগেই সাজঘরে হয় ব্যাপক ঝামেলা। দলের মধ্যেই বিদ্রোহ করে বসেন। কোচের সঙ্গে ঝামেলা লেগে যায় তাঁর। এর পর ক্ষুব্ধ ক্যামেরুন কোচ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে তাঁকে খেলাননি। সোমবারের ম্যাচে ইন্টার মিলানের গোলরক্ষকের বদলে রিগোবার্ট খেলান দ্বিতীয় গোলরক্ষক ডেভিস এপাসিকে। ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়।
বিশ্বকাপের মাঝে এই বিতর্কে ক্যামেরুন ফুটবল সংস্থার সভাপতি এটো দাঁড়িয়েছেন তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ কোচ রিগোবার্টের পক্ষে। তাতে ওনানার সমস্যা আরও বাড়ে। হতাশ ওনানা বলেছেন, ‘‘আমি সব সময় চেষ্টা করি দলের সাফল্যে সহযোগিতা করতে। মাঠে সতীর্থদের সাহায্য করতে বারন করলে, সেটা মেনে নেওয়া কঠিন।’’ উল্লেখ্য, ২৬ বছরের গোলরক্ষক এখনও পর্যন্ত দেশের হয়ে ৩৪টি ম্যাচ খেলেছেন।