জাপানের কাছে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হারতে হল জার্মানিকে। হেরে হতাশ জার্মানির ফুটবলাররা। ছবি: রয়টার্স
গত বার দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গিয়েছিল জার্মানি। সেটা ছিল গ্রুপের শেষ ম্যাচ। আর এ বার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই হারল জার্মানি। এশিয়ার আরও এক দেশ জাপানের কাছে। বার বার এশিয়ার দেওয়ালে ধাক্কা খাচ্ছে ২০১৪ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
গত বার বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে জিততেই হত জার্মানিকে। অনেক চেষ্টা করেও গোলের মুখ খুলতে পারেননি থমাস মুলাররা। ৯০ মিনিটের পরে খেলার গতির বিপরীতে জার্মানির গোলে বল জড়িয়ে দেন কিম ইয়ং। পিছিয়ে পড়ে গোল শোধের মরিয়া চেষ্টায় পুরো দলটা উঠে যায় দক্ষিণ কোরিয়ার বক্সে। উঠে যান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যুয়েরও। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে প্রতি আক্রমণ থেকে ফাঁকায় গোল করে জার্মানির কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন সন হিয়ুং মিন।
বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ায় চাকরি যায় কোচ জোয়াকিম লো-র। নতুন কোচ হয়ে আসেন হান্সি ফ্লিক। কোচ বদল হলেও ভাগ্য বদল হল না জার্মানির। আবার এক এশীয় দলের কাছে হারতে হল তাদের। প্রথম ম্যাচ হেরে চাপে জার্মানি। কারণ এই গ্রুপে স্পেনের মতো শক্তিশালী দল রয়েছে। আবার গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার আতঙ্ক চেপে বসেছে জার্মান সমর্থকদের মনে।
প্রথম ম্যাচেই জার্মানির রক্ষণ ভাগের দুর্বলতা বার বার দেখিয়ে দিল জাপান। সামনে জার্মানির মতো শক্তি থাকলেও গুটিয়ে থাকেননি জাপানের ফুটবলাররা। গোটা ম্যাচে সমানে সমানে লড়াই করলেন তাঁরা। ৩৩ মিনিটে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় জার্মানি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন গুন্ডয়ান। এই গোলের জন্য দায়ী জাপানের গোলরক্ষক গোন্ডা। তিনিই বক্সের মধ্যে ফাউল করেন জার্মানির এক ফুটবলারকে। তবু দমে না গিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে বাজিমাত করল এশীয়রা। ৭৫ মিনিটে জাপানের হয়ে প্রথম গোল করেন রিটসু ডোয়ান। সমতা ফেরানোর পর আরও চাপ বাড়ায় জাপান। অন্য দিকে চাপে পড়ে যায় জার্মানি। মুলাররা গোল করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। বরং, কিছুটা খেলার গতির বিপরীতেই ৮৩ মিনিটে অনবদ্য গোলে জাপানকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তাকুমা আসানো। জাপানের দ্বিতীয় গোলের পরেই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় অঘটন কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়।