ফুটবল মাঠে সমকামিতার সমর্থনে ব্যানার ছবি: টুইটার
ফুটবলারদের উদ্দেশে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের ঘটনা নতুন নয়। দর্শকরা তো বটেই, মাঝেমধ্যে তাতে নাম জড়ায় ফুটবলারদেরও। এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য পদক্ষেপ করেছে ফিফা। কোনও ফুটবলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে কড়া শাস্তির বিধান রয়েছে। এ বার ফিফার মাথাব্যথার কারণ বদলেছে। বর্ণবৈষম্য নয়, ফিফার নতুন চিন্তা সমকামী মন্তব্য নিয়ে। ফিফা জানিয়েছে, বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য যা হয়েছে, তার দ্বিগুণের বেশি কটাক্ষ করা হয়েছে সমকামিতা নিয়ে।
২০২০ সালের ইউরো কাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড-ইতালি ও ২০২২ সালের আফকন কাপের ফাইনালে সেনেগাল-মিশর ম্যাচের পরে নেটমাধ্যমে কী ধরনের কটাক্ষ হয়েছিল, সে দিকে নজর রেখেছিল ফিফা। দেখা গিয়েছিল, দু’টি ফাইনালের টাইব্রেকারে যে ফুটবলাররা পেনাল্টি ফস্কেছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে মোট ৫১৪টি বর্ণবিদ্বেষী ও সমকামী কটাক্ষ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৬২ শতাংশ কটাক্ষ ছিল সমকামী। ২৬ শতাংশ বর্ণবিদ্বেষী কটাক্ষ এসেছিল। গোটা বিশ্ব থেকে দর্শকেরা কটাক্ষ করেছিলেন। তবে সব থেকে বেশি (৩৮ শতাংশ) কটাক্ষ এসেছিল ব্রিটেন থেকে।
এই পর্যবেক্ষণের পরেই কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা। এই প্রসঙ্গে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন, ‘‘ফুটবলারদের রক্ষা করা আমাদের কাজ। যারা দর্শকদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ঘাম ঝরায় তাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য বরদাস্ত করব না। আমরা নেটমাধ্যমে নজর রেখে সবটা বুঝতে পেরেছি। ফুটবলারদের রক্ষা করতে নতুন পদ্ধতি আনছি। ফুটবলে এই ধরনের কটাক্ষের কোনও স্থান নেই।’’
ফিফা জানিয়েছে, তারা একটি বিশেষ প্রযুক্ত আনছে যাতে প্রতিটি প্রতিযোগিতার আগে সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ফুটবলারদের নেটমাধ্যমে নজর রাখা যায়। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য একটি দল তৈরি করেছে ফিফা। কোনও ফুটবলারের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষী বা সমকামী মন্তব্য করা হলে সঙ্গে সঙ্গে সেই মন্তব্যকে লুকিয়ে ফেলা হবে। অর্থাৎ যিনি মন্তব্য করেছেন তিনি ছাড়া অন্য কেউ সেটা দেখতে পাবেন না। ফলে সংশ্লিষ্ট ফুটবলারের উপর কোনও মানসিক প্রভাব পড়বে না। যাঁরা এই ধরনের মন্তব্য করছেন তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে ফিফা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।