কাতার বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলাবেন এই তিন মহিলা রেফারি। ডানদিক থেকে সালিমা মুকানসাঙ্গা, ইয়োশিমি ইয়ামাশিতা এবং স্টেফানি ফ্র্যাপার্ট। ছবি: টুইটার
নতুন ইতিহাস তৈরি হতে চলেছে কাতার বিশ্বকাপে। এই প্রথম পুরুষদের বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচ পরিচালনা করবেন মহিলা রেফারিরা। এক জন নয়, তিন জন মহিলা রেফারি এবং তিন জন সহকারী রেফারিকে বিশ্বকাপের জন্য বেছে নিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ফিফা।
বিশ্বকাপ ফুটবলের ৯২ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি। কাতার বিশ্বকাপে তৈরি হবে নতুন ইতিহাস। পুরুষ রেফারি মহিলাদের বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচ খেলিয়েছেন। মহিলা রেফারিদের ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে পুরুষদের ম্যাচ পরিচালনা করতে। কিন্তু কোনও মহিলা রেফারি কখনও পুরুষদের বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলাননি।
কাতারে ঠিক এমনটাই ঘটতে চলেছে। লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোদের মুখে বাঁশি নিয়ে মাঠে নিয়ন্ত্রণ করবেন তিন মহিলা রেফারি। জাপানের ইয়োশিমি ইয়ামাশিতা, রোয়ান্ডার সালিমা মুকানসাঙ্গা এবং ফ্রান্সের স্টেফানি ফ্র্যাপার্ট— এই তিন মহিলা রেফারিকে কাতার বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনা করার জন্য নির্বাচিত করেছে ফিফা। সহকারী রেফারি হিসেবেও বেছে নেওয়া হয়েছে তিন মহিলাকে। তাঁরা হলেন আমেরিকার ক্যাথরিন নেসবিট, মেক্সিকোর কারেন ডিয়াজ মেদিনা এবং ব্রাজিলের নেউজা ব্যাক।
চলতি মাসেই স্টেফানি পুরুষদের ফ্রেঞ্চ কাপ ফাইনাল খেলানোর দায়িত্ব সামলেছেন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে। প্রথম মহিলা রেফারি হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলানোরও কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর। নিজেদের দেশে পুরুষদের সর্বোচ্চ ডিভিশনের বেশ কিছু ম্যাচ খেলানোর অভিজ্ঞতাও রয়েছে স্টেফানির। ইয়োশিমি এবং সালিমাও পুরুষদের বেশ কিছু ম্যাচ দক্ষতার সঙ্গে খেলিয়েছেন। ইউরোপের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় খেলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁদের। সহকারী রেফারি হিসেবে নির্বাচিত তিন জনও পুরুষদের ম্যাচে দায়িত্ব সামলানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট দক্ষ এবং অভিজ্ঞ।
বৃহস্পতিবার কাতার বিশ্বকাপের জন্য বিশ্বের সেরা ৩৬ জন রেফারিকে বেছে নিয়েছে ফিফা। সেই তালিকাতেই জায়গা পেয়েছেন এই তিন মহিলা রেফারি। ৬৯ জন সহকারী রেফারির মধ্যেও রয়েছেন তিন জন মহিলা।
ফ্রেঞ্চ কাপ ফাইনালে স্টেফানি। ছবি: টুইটার
সংস্থার রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যান ইতালির প্রাক্তন বিখ্যাত রেফারি পিয়েরলুইজি কোলিনা বলেছেন, ‘‘অনেক বছর আগে শুরু হওয়া একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ফলাফল এটা। মহিলা রেফারিদের উন্নয়নে দীর্ঘ দিন কাজ করছে ফিফা। পুরুষদের জুনিয়র এবং সিনিয়র পর্যায়ের ম্যাচে আগেই অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন আমাদের মহিলা রেফারিরা। তাঁদের রেফারিংয়ের মান কোনও অংশে কম নয়। এ ক্ষেত্রেও আমরা নারী-পুরুষ সমতা আনতে পারলাম।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ওঁদের সকলেরই এই সুযোগটা প্রাপ্য ছিল। ধারাবাহিক ভাবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন সকলেই। ওঁদের রেফারিংয়ের মান যথেষ্ট উঁচু।’’