বিধ্বংসী: প্রথম গোলের পরে উল্লাস হালান্ডের। —ফাইল চিত্র।
অপ্রতিরোধ্য আর্লিং হালান্ড। মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে জোড়া গোল করে ইয়ং বয়েজ়ের বিরুদ্ধে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ৩-০ জয়ের নেপথ্যে মূল কারিগর ছিলেন তিনি। তবে পেপ গুয়ার্দিওলার পুরনো ক্লাব বার্সেলোনা ধাক্কা খেল। চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তিন ম্যাচ পরে অবশেষে থামল রবার্ট লেয়নডস্কিদের জয়রথ। বার্সেলোনাকে ১-০ হারাল শাখতার ডনেস্ক।
ইয়ং বয়জ়ের বিরুদ্ধে প্রথম পর্বের দ্বৈরথেও জোড়া গোল করেছিলেন হালান্ড। ৩-১ জিতেছিল ম্যান সিটি। মঙ্গলবার রাতে ২৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ১-০ করেন হালান্ড। সংযুক্ত সময়ে (৪৫+১ মিনিট) ২-০ করেন ফিল ফোডেন। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পরেই নজিরবিহীন দৃশ্য দেখা যায়। ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় ম্যান সিটি তারকার জার্সি চান ইয়ং বয়েজ়ের অধিনায়ক মহম্মদ আলি কামারা! তাঁকে নিরাশ করেননি হালান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার ছয় মিনিটের মধ্যেই ফের ঝলসে ওঠেন হালান্ড। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। ম্যান সিটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৭০ ম্যাচে ৬৭তম গোল করে ফেললেন হালান্ড। ৬১ মিনিটে পেপ তাঁকে তুলে না নিলে হয়তো মঙ্গলবার রাতেই ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড কিংবদন্তি রুদ ফান নিস্তেলরুইকে টপকে যেতেন। ৪৫ ম্যাচে ৪০ গোল করেছিলেন ডাচ স্ট্রাইকার। হালান্ডের গোল সংখ্যা এই মুহূর্তে ৩৯টি। ৫৩ মিনিটে সান্দ্রো লাউপের লাল (দ্বিতীয় হলুদ) কার্ড দেখায় বাকি সময় দশ জনে খেলে ইয়ং বয়েজ়। হালান্ডের লক্ষ্য পূরণ না হলেও নতুন নজির গড়ল ম্যান সিটি। একই সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে দ্রততম ২৫০ গোল করল ইংল্যান্ডের ক্লাব। এই রেকর্ড এত দিন দখলে ছিল প্যারিস সঁ জরমঁ-এর। ১২৭ ম্যাচে ২৫০ গোল করেছিল প্যারিসের ক্লাব। মঙ্গলবার রাতে ম্যান সিটি সেই রেকর্ড ভাঙল ১১৯তম ম্যাচে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করে ফেলল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় খেলা।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের ক্লাব শাখতারের বিরুদ্ধে জিতলে বার্সারও শেষ ষোলোয় খেলা নিশ্চিত হয়ে যেত। ৪০ মিনিটে দানিলো সিকানের গোলে আশা শেষ হয়ে যায় লেয়নডস্কিদের। হতাশ বার্সা ম্যানেজার জ়াভি হার্নান্দেস বলেছেন, ‘‘গত দুই বছরের মধ্যে এটা আমাদের অন্যতম খারাপ ম্যাচ।’’
হতাশা পিএসজি শিবিরেও। এসি মিলানের বিরুদ্ধে ১-২ গোলে হেরে ‘এফ’ গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেলেন কিলিয়ান এমবাপেরা। মিলান স্ক্রিনিয়ারের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল প্যারিসের ক্লাব। ১২ মিনিটে সমতা ফেরান রাফায়েল লিয়াও। ৫০ মিনিটে এসি মিলানের হয়ে জয়সূচক গোল করেন অলিভিয়ের জিহু। নিউ ক্যাসলকে ২-০ হারিয়ে এই গ্রুপের শীর্ষ স্থান দখল করল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।সেল্টিককে ৬-০ চূর্ণ করে ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষ স্থানে উঠল আতলেতিকো দে মাদ্রিদ। জোড়া গোল আলভারো মোরাতো ও আঁতোয়া গ্রিজ়ম্যানের। একটি গোল করেন দিয়াস লিনো ও সউল নিগুয়েস।