ম্যাঞ্চেস্টার সিটির হয়ে গোল করার পর হালান্ড। ছবি: টুইটার থেকে
আর্লিং হালান্ড। এই মুহূর্তে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে তাঁকে দেখলেই কেঁপে যাচ্ছে বিপক্ষের রক্ষণভাগ। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করা স্ট্রাইকার ইতিমধ্যেই লিগে ১৪টি গোল করে ফেলেছেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা হ্যারি কেন করেছেন সাতটি গোল। ইংরেজ অধিনায়কের দ্বিগুণ গোল করলেও বিশ্বকাপে দেখা যাবে না হালান্ডের খেলা।
নরওয়ে এ বারের বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতেই পারেনি। এ বারের বিশ্বকাপ যখন চলবে, হালান্ড তখন বিশ্রাম নেবেন অথবা দেশের হয়ে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলবেন। ২০ নভেম্বর থেকে শুরু ফুটবল বিশ্বকাপ। লিয়োনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোরা খেলবেন। তাঁদের দেখার জন্য দর্শক ভিড় করবে মাঠে। থাকবেন নেমার, এমবাপেরাও। শুধু নেই হালান্ড। বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকারদের সঙ্গে তুলনা শুরু হয়ে গিয়েছে এই মরসুমে ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়া হালান্ডের। তাঁর গতি, গোল করার দক্ষতা, বক্সের মধ্যে ক্ষিপ্রতা মুগ্ধ করছে সকলকে। কিন্তু বিশ্বকাপে সেটা দেখার সুযোগ থাকছে না।
ইপিএলের অন্যতম সেরা মূল্যবান ফুটবলার হয়ে ওঠার পথে হালান্ড। ছবি: টুইটার থেকে
২৩ বছর আগে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির হয়ে সই করেছিলেন আলফ-ইংগ হালান্ড। সেই ক্লাবেই এ বার সই করেছেন তাঁর ছেলে আর্লিং হালান্ড। ছোট থেকেই সিটির ভক্ত ছিলেন তিনি। সিটির হয়ে ১৮১টি ম্যাচ খেলেছিলেন তাঁর বাবা। এই মরসুমে ছেলের সবে শুরু। হালান্ডের ফুটবলজীবন শুরু নরওয়েতেই। ১০ বছর বয়সে যোগ দেন ব্রাইনের যুব অ্যাকাডেমিতে। ১৬ বছর পূর্ণ হওয়ার তিন মাসে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয় তাঁর। এর পর যোগ দেন মলডেতে। অস্ট্রিয়ার ক্লাব সালজবুর্গ তাঁকে কিনে নেয়। সেই ক্লাবের হয়ে ২২ ম্যাচে ২৮ গোল করার পর যোগ দেন ডর্টমুন্ডে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাঁর গোলের বন্যা দেখে দেরি করেনি ডর্টমুন্ড। নরওয়ের ফুটবলারকে সই করানো হয়। ২০১৯-২০ মরসুমে ৪০ ম্যাচে ৪৪ গোল করেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কনিষ্ঠতম ফুটবলার হিসাবে ২০টি গোল করার নজির রয়েছে তাঁর। গত মরসুমে ভুগেছেন চোট-আঘাতে। তাতেও ৩০টি ম্যাচে ২৯টি গোল করেছেন। দেশের হয়ে এখনও ২২টি ম্যাচে ২০টি গোল করেছেন।
ইপিএলের অন্যতম সেরা মূল্যবান ফুটবলার হয়ে ওঠার পথে হালান্ড। কিন্তু বিশ্বকাপ মিস্ করবে তাঁকে।