সাদিও মানেকে সালাহ-র অভিনন্দন ছবি রয়টার্স।
চেলসির ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ২-০ এগিয়ে গিয়েও ম্যাচ জিতে ফেরা হল না লিভারপুলের। ম্যাচ শেষ হল অমীমাংসিত ভাবে। খেলার ফল ২-২। যার ফলে ২১ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে ইপিএলের শীর্ষে রইল ম্যান সিটি। সমসংখ্যক ম্যাচের পরে তাদের ১০ পয়েন্ট পিছনে অর্থাৎ ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকল চেলসি। অন্য দিকে, ২০ ম্যাচের পরে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকল লিভারপুল।
করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় এ দিন মাঠে ছিলেন না লিভারপুল ম্যানেজার য়ুর্গেন ক্লপ। চেলসি ম্যানেজার থোমাস টুহল যদিও মাঠে ছিলেন। খেলার ৯ মিনিটেই সাদিয়ো মানের গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। ২৬ মিনিটে লিভারপুলের হয়ে ২-০ করেন মহম্মদ সালাহ। যদিও বিরতির আগেই এই গোল শোধ করে দেয় চেলসি। ৪২ মিনিটে মাতেও কোভাসিচ এবং প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময়ে সমতা ফেরান ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ। দ্বিতীয়ার্ধে দু’দলই গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠলেও বিপক্ষের রক্ষণকে পরাস্ত করে জয়সূচক গোল করতে ব্যর্থ।
ম্যাচের পরে চেলসির গোলদাতা পুলিসিচ বলেন, ‘‘প্রথম দিকে আমাদের কিছু ভুল হচ্ছিল। কিন্তু ছন্দ ফিরে পেতেই সমতা ফেরাই আমরা। নিজেদের প্রতি আস্থা হারাইনি কখনও। জিতে না ফিরতে পারায় হতাশ লাগছে। যদিও প্রথমার্ধেই সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে আমাদের জিতে ফেরার কথা। প্রথম ৪৫ মিনিটে এক সময়ে আক্রমণে ঝড় তুললেও আমরা ০-২ পিছিয়ে ছিলাম। যা বিশ্বাস হচ্ছে না।’’ লিভারপুল মাঝমাঠের ফুটবলার জর্ডান হেন্ডারসন বলে যান, ‘‘এই ফলে সুবিধা হল ম্যাঞ্চেস্টার সিটির। আর গোলের প্রচুর সুযোগ তৈরি করেও জিতে ফিরতে না পারায় হতাশা থাকল আমাদের জন্য। যে পরিকল্পনা নিয়ে আজ মাঠে নেমেছিলাম আমরা, তা ঠিকঠাক কাজে লাগেনি। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফেরা সব সময়েই কঠিন কাজ। সেখানে এক পয়েন্ট নিয়ে ফেরাটাই ইতিবাচক ব্যাপার বলে মনে হয়েছে আমার।’’
এ দিকে, কোচ আন্তোনিয়ো কন্তের মুখে হাসি ফোটালেন ড্যাভিনসন স্যাঞ্চেস। সংযুক্ত সময়ে (৯৬ মিনিট) তাঁর হেড থেকে করা গোলেই শনিবার টটেনহ্যাম ১-০ হারাল ওয়াটফোর্ডকে। এই জয়ের সৌজন্যে স্পার্স প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট টেবলে ছ’নম্বরে উঠে এল (১৮ ম্যাচে ৩৩ )। পাশাপাশি সপ্তম স্থানে নেমে গেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোদের ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। সমসংখ্যক ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩১।
আর্সেনাল বনাম ম্যান সিটি ম্যাচে করোনায় আক্রান্ত মিকেল আর্তেতা শনিবার মাঠে ছিলেন না। সহকারী কোচ অ্যালবার্ট স্টুইভেনবার্গ ম্যাচের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ক্ষোভ উগরে দিলেন রেফারির উপরে। কম গেলেন না গানার্স গোলরক্ষক অ্যারন রামসডেলও। তাঁরা দু’জনই চান, রেফারির কাজে যেন ধারাবাহিকতা থাকে। বিতর্কিত সিদ্ধান্ত না নিয়ে কেন এখনও রেফারি মাঠের ধারেই রাখা ভিডিয়ো প্রযুক্তির সাহায্য সবসময় নেন না, তা তাঁদের বোধগম্য হয়নি।
ম্যান সিটি ২-১ জেতে। প্রথম গোল করেছিল আর্সেনাল। পেনাল্টি থেকে ১-১ করে ম্যান সিটি। রেফারি পেনাল্টি দেন ভিডিয়ো প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েই। কিন্তু প্রথমার্ধে বক্সে ম্যান সিটির গোলরক্ষক এডারসন বিশ্রী ভাবে আর্সেনালের মার্টিন ওডেগার্ডকে ফেলে দিলেও তিনি পেনাল্টি দেননি।