অনুশীলনে হ্যারি কেন। ছবি: রয়টার্স।
‘ফুটবল ইজ় কামিং হোম’। এই স্লোগান নিয়েই তিন বছর আগে ইউরো কাপে নেমেছিল ইংল্যান্ড। ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ইটালির কাছে হেরে। এ বার কি ফুটবল ‘ঘরে’ আসবে? ৫৮ বছরের খরা কাটাতে মরিয়া ইংল্যান্ড রবিবার সেই লক্ষ্যেই নামছে। প্রতিপক্ষ সার্বিয়া। এ দিকে, দিনের প্রথম ম্যাচে পোলান্ডের বিরুদ্ধে নামছে নেদারল্যান্ডস।
১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর ফুটবলে কোনও বড় ট্রফি জেতেনি ইংল্যান্ড। আজ পর্যন্ত তারা ইউরো কাপ জেতেনি। তবে এ বার ইংল্যান্ড দলের আক্রমণ ভাগ গত কয়েক বছরের থেকে শক্তিশালী। অভিজ্ঞ হ্যারি কেন তো রয়েছেনই। সঙ্গে জুড বেলিংহ্যাম, ফিল ফডেন এবং বুকায়ো সাকার মতো বিকল্প রয়েছে কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের হাতে। ফলে রবিবার গেলসেনকির্শেনে অনায়াসেই সার্বিয়াকে হারানোর ক্ষমতা রাখে ইংল্যান্ড।
তবে আক্রমণভাগ যতটা শক্তিশালী, ততটাই দুর্বল রক্ষণ। হ্যারি ম্যাগুয়ের চোটের কারণে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাওয়ায় বিপদ বেড়েছে। তাঁর বিকল্প মার্ক গুয়েহির বড় মঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। আর এক ডিফেন্ডার জন স্টোন্স ক্লাবের হয়ে খুব বেশি ম্যাচে খেলেননি। চোট-আঘাতে ভুগেছেন। লেফট-ব্যাক লুক শ ফেব্রুয়ারির পর থেকে খেলেননি। তাঁর জায়গায় খেলতে পারেন কিয়েরান ট্রিপিয়ার। রাইট-ব্যাকে খেলতে পারেন কাইল ওয়াকার।
সেটা দেখেই হুঙ্কার দিয়েছেন সার্বিয়ার ফরোয়ার্ড ডুসান ভ্লাহোভিচ। তিনি অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন আইসল্যান্ডের থেকে, যারা গত সপ্তাহে ইংল্যান্ডকে প্রস্তুতি ম্যাচে হারিয়েছে। ভ্লাহোভিচ বলেছেন, “কোনও দল অপ্রতিরোধ্য নয়। আইসল্যান্ডের ম্যাচ দেখে অনেক কিছু শিক্ষা নিয়েছি। ৮০ হাজার দর্শকের সামনে ইংল্যান্ড হেরেছে। ইংল্যান্ড ফেভারিট হলেও আমরা ছেড়ে কথা বলব না।”
এ দিকে, নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে পোলান্ড প্রথম ম্যাচে পাবে না দলের সেরা অস্ত্র রবার্ট লেয়নডস্কিকে। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে খেলতে পারবেন না তিনি। গোটা গ্রুপ পর্বেই তাঁকে পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও কোচ মিকাল প্রোবিয়ের্জ বলেছেন, “অস্ট্রিয়া ম্যাচের আগে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা লেয়নডস্কির।”
এ দিকে, ইউরো থেকে ছিটকে গিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের ফ্রেঙ্কি দি জং এবং তিউন কুপমেইনার্স। ১৯৮৮ সালের পর প্রথম বার ইউরো জয়ের লক্ষ্যে নামছে তারা। এখনকার কোচ রোনাল্ড কোমান সেই দলে ছিলেন। দুই তারকা ফুটবলার ছিটকে যাওয়ার দু’জনকে বিকল্প হিসাবে নিয়েছেন তিনি। তবে বড় মঞ্চে দু’জনেই অনভিজ্ঞ।
মাঝের ম্যাচে স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে ডেনমার্ক। ইতিমধ্যেই ৫০ হাজার ড্যানিশ হাজির হয়েছেন জার্মানিতে। তাঁদের অনেকেই রবিবার হাজির থাকবেন স্টুটগার্টে।