English Premier League

বিশ্বকাপ ফাইনালের দুই গোলরক্ষক মুখোমুখি! কবে লড়াই মার্তিনেস-লরিসের?

বিশ্বকাপের লড়াইয়ে মার্তিনেসের কাছে হারতে হয়েছিল লরিসকে। আবার মুখোমুখি তারা। এ বার ক্লাবের হয়ে নামবেন একে অপরের বিরুদ্ধে। সেই লড়াইয়ে কি মার্তিনেসকে হারাতে পারবেন লরিস?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:২৭
Share:

বিশ্বকাপে লরিসকে (বাঁ দিকে) হারতে হয়েছিল মার্তিনেসের কাছে। এ বার তাঁর কাছে সুযোগ বদলা নেওয়ার। —ফাইল চিত্র

বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিসকে হারিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। আবার সামনা-সামনি তাঁরা। তবে এ বার দেশের নয়, ক্লাবের জার্সিতে। আগামী রবিবার প্রিমিয়ার লিগের খেলায় টটেনহ্যাম হটস্পারের মুখোমুখি এ্যাস্টন ভিলা। টটেনহ্যামের গোলরক্ষক লরিস খেলতে নামবেন ভিলার গোলরক্ষক মার্তিনেসের বিরুদ্ধে।

Advertisement

রবিবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে শুরু হবে খেলা। পয়েন্ট তালিকায় চার নম্বরে রয়েছে টটেনহ্যাম। ১৬ ম্যাচ খেলে তাদের পয়েন্ট ৩০। অন্য দিকে ভিলা রয়েছে ১২তম স্থানে। ১৬ ম্যাচ খেলে তাদের পয়েন্ট ১৮। তাই দু’দলের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। মার্তিনেসের কাছে নিজের ছন্দ ধরে রাখার লড়াই। আর লরিসের কাছে লড়াই বিশ্বকাপের হারের বদলা নেওয়ার।

তবে এর মধ্যেই খবর, মার্তিনেসের সঙ্গে সম্পর্ক খুব একটা ভাল নেই ভিলার। মার্তিনেসকে তাড়াতে হঠাৎই সক্রিয় হয়ে উঠেছে তাঁর ক্লাব। বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে পড়া এই গোলকিপারকে রাখতে চাইছেন না কোচ উনাই এমেরি। জানুয়ারিতে ট্রান্সফার উইন্ডো শুরু হলেই তাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হতে পারে। এমন খবরই প্রকাশ্যে এনেছে ইউরোপের ফুটবলে ট্রান্সফার সংক্রান্ত খবরের সবচেয়ে বড় সংস্থা ‘ফিকাজেস’।

Advertisement

তারা জানিয়েছে, আর কয়েক দিন পরেই ট্রান্সফার উইন্ডো শুরু হবে। সেখানেই মার্তিনেসকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। মার্তিনেসের মেজাজ এবং আচার-আচরণ নিয়ে একেবারেই সন্তুষ্ট নন এমেরি। তাঁকে দল থেকে বের করে দিতে চান। সেভিয়ার ইয়াসিন বুনুকে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিশ্বকাপে গোলকিপারদের মধ্যে মার্তিনেস এবং ক্রোয়েশিয়ার ডমিনিক লিভাকোভিচের পাশাপাশি নজর কেড়েছিলেন বুনুও। ফিকাজেস বলেছে, “ক্লাব এবং মার্তিনেসের বিচ্ছেদ কার্যত সম্পূর্ণ। কোচ নিজেই দায়িত্ব নিয়েছেন যাতে যত দ্রুত সম্ভব মার্তিনেসকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়।”

এই খবর চমকে দেওয়ার মতোই। কারণ, তার আগে জানা গিয়েছিল এমেরি নিজে মার্তিনেসের সঙ্গে কথা বলে তাঁর আচরণ সংযত করার চেষ্টা করবেন। কারণ, বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে মার্তিনেসকে নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। সোনার গ্লাভসের পুরস্কার নিয়ে তাঁর কুৎসিত অঙ্গভঙ্গিই হোক বা পুতুলের মুখে কিলিয়ান এমবাপের মুখোশ পরানো, বিভিন্ন কারণে তিনি এসেছেন শিরোনামে। ভবিষ্যতে ক্লাবের হয়ে যাতে কোনও বিতর্কে জড়িয়ে না পড়েন, তার জন্য আগেভাগেই তাঁকে সতর্ক করে দিতে চেয়েছিলেন এমেরি। না মানলে ভবিষ্যতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে ক্লাব সূত্রের খবর ছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement