কার্লেস কুয়াদ্রাত। —ফাইল চিত্র।
এ বারের আইএসএলে এখনও জয় পায়নি ইস্টবেঙ্গল। বেঙ্গালুরু এফসি এবং কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে প্রথম দু’টি ম্যাচে হেরে গিয়েছে তারা। সেই দু’টিই ছিল অ্যাওয়ে ম্যাচ। এ বার ঘরের মাঠে খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল। বিপক্ষে এফসি গোয়া। তবে একটি ব্যাপারে স্বস্তিতে ইস্টবেঙ্গল।
ডুরান্ড কাপের পর আবার যুবভারতীতে খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল। এ বারের আইএসএলে প্রথম দু’টি ম্যাচই খেলতে হয়েছিল বাইরের মাঠে। এ বার সমর্থকদের সামনে খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল। সেটাই স্বস্তি দিচ্ছে লাল-হলুদ শিবিরকে। এই মরসুমে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়েছেন মাধি তালাল। তিনি বলেন, “ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে খেলতে পারব ভেবে স্বস্তি পাচ্ছি। তাদের চিৎকার আমাদের ভাল খেলতে উদ্বুদ্ধ করবে। আমরা সমর্থকদের সামনে নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করব।”
পর পর দু’টি ম্যাচ হারতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। এ বারের আইএসএলের শুরুটা ভাল হয়নি তাদের। তালাল বলেন, “আমাদের দলটা নতুন। মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগছে। জানি ফুটবলে এই সময়টা খুব বেশি পাওয়া যায় না। আশা করছি গোয়ার বিরুদ্ধে আমরা জয়ে ফিরব।” কেরলের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। প্রথমার্ধে দল ভাল খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে পারছে না। সেই রোগও তাড়াতাড়ি সারাতে চাইছেন তালালেরা। তিনি বলেন, “আমি নিজে খুব ভাল খেলতে পারিনি শেষ ম্যাচে। আমাদের আরও ভাল খেলতে হবে। আমরা সেই চেষ্টাই করছি। ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই খেলতে নামব।”
পর পর ম্যাচ হেরে যে চাপ বাড়ছে তা স্বীকার করে নিলেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতও। তিনি বলেন, “শুরুটা ভাল হয়নি। চাপ তো থাকবেই। সব ম্যাচের আগেই চাপ থাকে। এই ম্যাচের আগেও রয়েছে। আমরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি। বেশ কিছু তরুণ ভারতীয় ফুটবলার রয়েছে আমাদের দলে। সেই সঙ্গে ভাল মানের বিদেশি রয়েছে। সকলের মধ্যে বোঝাপড়াটা প্রয়োজন। দলে কিছু ফুটবলারের চোট রয়েছে। গোয়ার বিরুদ্ধে কে কে খেলতে পারবে সেটা কাল বুঝতে পারব।”
এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে চোটের কারণে দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোসের খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। জ্বর হয়েছে সাউল ক্রেসপোর। তাঁরা গোয়ার বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন কি না তা স্পষ্ট নয়। গোলরক্ষক দেবজিৎ মণ্ডলকে শুক্রবারের ম্যাচে দেখা যেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।