East Bengal

নজির দিয়ামানতাকোসের, ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে আরও গোল চান আনোয়ার, এখনও চিন্তা কোচের

৮২ দিন পর জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। পুরনো লাল-হলুদকে দেখতে পেয়েছেন সমর্থকেরা। আনন্দও বাঁধনহারা। তবে আবেগে ভেসে যাচ্ছেন না কোচ অস্কার ব্রুজ়‌ো। পারফরম্যান্সে খুশি হলেও এখনও ভাবাচ্ছে কয়েকটি বিষয়। সেগুলি কী কী?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:২৩
Share:

গোলের পর দিয়ামানতাকোস। ছবি: সমাজমাধ্যম।

৮২ দিন পর অবশেষে জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০ উড়িয়ে দেওয়ার দিনে পুরনো লাল-হলুদকে দেখতে পেয়েছেন সমর্থকেরা। আনন্দও তাই বাঁধনহারা। তবে এ সবের মধ্যে আবেগে ভেসে যাচ্ছেন না কোচ অস্কার ব্রুজ়‌ো। দলের পারফরম্যান্সের তিনি খুশি হলেও এখনও ভাবাচ্ছে কয়েকটি বিষয়। এ দিকে, লাল-হলুদ জার্সিতে প্রথম গোল করার পর আরও গোল চান আনোয়ার আলি।

Advertisement

গ্রুপে চার পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল আপাতত দ্বিতীয় স্থানে। পরের ম্যাচে নেজমেহকে হারাতে পারলে কোয়ার্টার ফাইনাল নিয়ে ভাবতেই হবে ব্রুজ়োর দলকে। হারলে বা ড্র করলেও সেরা দ্বিতীয় স্থানাধিকারী দল হিসাবে কোয়ার্টারে যাওয়ার সুযোগ থাকছে। বসুন্ধরা ম্যাচের পর ব্রুজ়ো বলেছেন, “অনেক দিন পরে আমরা জিতেছি। এই জয় সমর্থকদের উৎসর্গ করছি। বিশেষত যাঁরা এখানে এসে আমাদের সমর্থন করছেন। আশা করি আমরা এ রকমই খেলতে পারব। এটা সবে প্রথম ধাপ।”

তবে ব্রুজ়োকে এখনও ভাবাচ্ছে দলের ফিটনেস। পরিস্থিতি অনেকটা ভাল হলেও চিন্তায় বিষয় রয়েছে। ব্রুজ়োর কথায়, “দলে যোগ দেওয়ার পর শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানো লক্ষ্য ছিল আমার। মাত্র তিনটে পুরোদস্তুর অনুশীলন সেশনের সুযোগ পেয়েছি। বাকিগুলো কেটেছে রিহ্যাবে। দলের ফিটনেস নিয়ে আমি খুশি। প্রথমার্ধে সেটা সবাই দেখেছেন। তবে পুরোপুরি খুশি নই। কারণ ৯০ মিনিটই একই ছন্দে খেলতে চাই।”

Advertisement

ব্রুজ়োর আরও সমস্যা বাড়িয়েছে হেক্টর ইয়ুস্তের চোট। যদিও স্পেনীয় কোচ বলেছেন, “কাল (বুধবার) ওকে ভাল করে দেখব। ম্যাচে ও ভাল খেলেছে। মনে হয় ওর পেশির সমস্যা হয়েছে। বুধবার ওকে দেখে দ্রুত সুস্থ করানোর চেষ্টা করব। হেক্টর ফিট না হলেও বিকল্প ভাবনা তৈরি আছে।”

মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গলের হয়ে চার জন আলাদা ফুটবলার গোল করেছেন। এটা দলের পক্ষে ভাল কি না জিজ্ঞাসা করা হলে ব্রুজ়োর উত্তর, “যে কোনও দলের কাছে গোল করার একাধিক ফুটবলার থাকা খুবই ভাল। বসুন্ধরার কাছেও সে রকম খেলোয়াড় ছিল। তবে ওদের আমরা মাঝমাঠ পর্যন্ত আটকে রাখতে পেরেছিলাম। বাঁ দিকে দিয়ে প্রচুর আক্রমণ করেছি। নন্দকুমারের প্রশংসা প্রাপ্য। প্রথমার্ধে ওই দিক দিয়ে অনেক আক্রমণ করেছি।”

ইস্টবেঙ্গলের এক ভিডিয়োবার্তায় আনোয়ার বলেছেন, “খুব খুশি। এত বড় মঞ্চে গোল করতে পেরেছি। লাল-হলুদ জার্সিতে প্রথম গোলের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আশা করি আরও অনেক গোল করতে পারব।” একই কথা শোনা গিয়েছে আর এক গোলদাতা শৌভিক চক্রবর্তীর গলাতেও। বলেছেন, “প্রথম গোল সব সময়েই স্পেশ্যাল। আগামী দিনে আরও গোল করে দলকে সাহায্য করার চেষ্টা করব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement