সুনীল ছেত্রী। —ফাইল চিত্র।
এ বারের আইএসএলে প্রথম হার ইস্টবেঙ্গলের। প্রথম দু’টি ম্যাচে অপরাজিত থাকলেও বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে তাদের মাঠে গিয়ে হারতে হল লাল-হলুদকে। সুনীল ছেত্রীদের বিরুদ্ধে ১-২ গোলে হার ইস্টবেঙ্গলের। তবে জোর করে পেনাল্টি পাইয়ে দেওয়া হল বেঙ্গালুরুকে। সেই গোলেই সমতা ফেরান সুনীল। যদিও একাধিক সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হল ইস্টবেঙ্গলকে।
১৫ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন নাওরেম মহেশ সিংহ। বলটি পেয়েছিলেন নন্দকুমার। তিনি পাস বাড়িয়ে দেন মহেশকে। দু’জন ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সেই গোল বেশি ক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। ১৯ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে সুনীলকে ফাউল করায় পেনাল্টি দেন রেফারি। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়। সুনীল নিজেই পড়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে লাল-হলুদের কোনও ফুটবলার স্পর্শ করেননি। কিন্তু পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। সেখান থেকে গোল করেন সুনীল। লাল-হলুদ গোলরক্ষক প্রভসুখেন সিংহ ঠিক দিকে ঝাঁপ দিলেও বলের নাগাল পাননি।
২৯ মিনিটের মাথায় গোল করার সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ফ্রি কিক থেকে মারা বল বেঙ্গালুরুর গোলরক্ষক আটকে দেওয়ার পর ফিরতি বলে শট মেরে জালে জড়িয়ে দিয়েছিলেন নন্দ। কিন্তু তিনি অফসাইডে থাকায় গোল বাতিল হয়। ফ্রি কিকের সময় নন্দ ভুল জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকার কারণেই গোল পেল না ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলেই।
দ্বিতীয়ার্ধেও সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ৫৫ মিনিটের মাথায় মহেশ পাস বাড়িয়েছিলেন নন্দকুমারের উদ্দেশে। গোলের ঠিকানা লেখা ক্রস করেছিলেন মহেশ। কিন্তু নন্দ সেই বল ধরে গোলপোস্টের মাথার উপর দিয়ে তুলে দেন। ফাঁকা গোল পেয়ে গিয়েছিলেন প্রায়। তার পরেও বাইরে মারেন তিনি। সেই ভুল ইস্টবেঙ্গলকে ভোগাল। ৭২ মিনিটে বাইসাইকেল কিকে গোল করে বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দেন জাভি হার্নান্দেজ। এটিকে মোহনবাগানে খেলে যাওয়া ফুটবলারের সেই গোলেই হারতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল তাদের। লিগে পাঁচ নম্বরে রয়েছে কার্লেস কুয়াদ্রতের দল। এ বারের লিগে প্রথম জয় পেল বেঙ্গালুরু। তিন ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে সুনীলেরা আট নম্বরে। লিগ শীর্ষে রয়েছে মোহনবাগান।