ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রত। —ফাইল চিত্র।
নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়েও সেমিফাইনাল জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। এই ঘুরে দাঁড়ানোর পিছনে রয়েছে লাল-হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রত। নিজেই জানালেন কী ভাবে অসুস্থ ক্লেটন সিলভাকে নামিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন।
ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। সেমিফাইনালে দু’গোলে পিছিয়ে থেকেও নর্থইস্ট ইউনাইটেডের মতো ফর্মে থাকা দলের বিরুদ্ধে জয় তুলে নেয় তারা। কুয়াদ্রত বলেন, “ফুটবল খুব কম ব্যবধানের খেলা। ০-২ গোলে পিছিয়ে থাকার পর একটা গোল শোধ করি আমরা। তার পরেই প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে দলের পরিকল্পনা বদলাই। ৩-৫-২ ছকে চলে আসি। শেষ যে ফ্রি কিকটা পেয়েছিলাম, সেটা থেকেই ২-২ করে দিই। আগেও বলেছি, আমরা এমন একটা দল হতে চাই, যাদের হারানো কঠিন। এখনও পর্যন্ত পাঁচটা ম্যাচ খেলেছি। তিনটে ম্যাচ জিতেছি এবং দুটো ড্র করেছি। ফুটবলারদের হার না মানার মানসিকতা না থাকলে এ সম্ভব নয়।”
কুয়াদ্রত মনে করেন এই ম্যাচে তিনি ঝুঁকি নিয়েছিলেন। পুরোপুরি সুস্থ না হলেও ক্লেটনকে নামিয়ে দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। তিনি বলেন, “এই ধরনের ম্যাচে একটা গোল শোধ করার পরেই আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে। ০-২ গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পর নতুন কিছু করার চেষ্টা করি। ক্লেটন সিলভা ও হাভিয়ে সিভেরিওর একটা জুটি গড়ে তুলি। ক্লেটন পুরো ফিট ছিল না। তবু ওকে নামানোর ঝুঁকি নিই। তাতেই সমতা ফেরে।”
১৯ বছর পর ডুরান্ডের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। বৃহস্পতিবার মোহনবাগান যদি এফসি গোয়াকে সেমিফাইনালে হারিয়ে দেয়, তাহলে আরও এক বার কলকাতা ডার্বি দেখা যাবে। যদিও কুয়াদ্রত সে সব নিয়ে ভাবছেন না। নিজেরা ফাইনালে উঠতে পেরেই খুশি লাল-হলুদ কোচ। ফাইনালে কোন দলের বিরুদ্ধে খেলতে হবে, সেটা নিয়ে ভাবছেন না।