ইস্টবেঙ্গলের কোচ হয়ে আসার পর প্রথম বার রেফারিং নিয়ে সরব হলেন অস্কার ব্রুজ়ো। —ফাইল চিত্র।
গত মরসুমে বার বার রেফারিদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের তৎকালীন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তার জন্য নির্বাসিতও হতে হয়েছিল তাঁকে। এই মরসুমেও ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য বদলাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার তারা আবার রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে পয়েন্ট খুইয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের কোচ হয়ে আসার পর প্রথম বার রেফারিং নিয়ে সরব হলেন অস্কার ব্রুজ়ো। তিনি জানালেন, রেফারিরা হয়তো ইস্টবেঙ্গলকে ছোট দল হিসাবে দেখছে বলেই এ রকম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কিছু ক্ষণ আগে দিয়েগো মৌরিসিয়োর সঙ্গে সংঘর্ষে লাল কার্ড দেখেন জিকসন সিংহ। সেই সংঘর্ষ খুব গুরুতর না হলেও রেফারি তাঁকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড এবং লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে বার করে দেন। ফলে মাঝপাঠের একজন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার হারায় ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচের পর ব্রুজ়ো বলেছেন, ‘রেফারিরা সম্ভবত আমাদের ছোট দল হিসাবে দেখছেন। আমাদের ফুটবলারকে মাঠের বাইরে বার করে দেওয়া খুব সহজ। আমাদের বিরুদ্ধে পেনাল্টি দেওয়া খুব সহজ। কিন্তু আমাদের পক্ষে পেনাল্টি দেওয়া হচ্ছে না। একজন ফুটবলারের পায়ে যখন বলের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তখন কনুই লাগলে কোনও মতেই লাল কার্ড দেওয়া যায় না। দুটো ম্যাচ আগেও দেখেছিলাম নন্দকুমারের ক্ষেত্রে একই জিনিস করা হয়েছিল। এই ম্যাচেও তাই হল। রেফারিরা খুব ভাল করে জানেন কোন ফুটবলার অভিনয় করার ভান করে। কিছুক্ষণ আগেও যে মাঠে শুয়ে কাতরাচ্ছিল, জিকসনের লাল কার্ডের পরে সে উঠে দাঁড়াল এবং পরে ওড়িশার একটা গোলের ক্ষেত্রে ভূমিকা নিল। রেফারির সিদ্ধান্তই আজকের ম্যাচের ক্ষেত্রে পার্থক্য করে দিল।’
এখানেই না থেমে ব্রুজ়ো আরও বলেছেন, ‘গত কয়েক বছর ভারতে কোচিং করাইনি। পাঁচ-ছ’বছর পর কোচিং করাতে এসেছি। আমার মনে হয় ফুটবলারদের সম্পর্কে রেফারিদের আরও একটু জ্ঞান থাকা দরকার। আমার মতে, ওটা কোনও ভাবেই লাল কার্ড ছিল না। ফুটবল শারীরিক খেলা। একটু-আধটু সংঘর্ষ হতেই পারে। তবে রেফারিরা মনে হয় চান না ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারেরা কারও সঙ্গে বল কাড়াকাড়ি করুক।’