আনোয়ার আলি। ছবি: সংগৃহীত।
বেঙ্গালুরুর কাছে হারতে হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে সেই ভুল করতে চাইছে না ইস্টবেঙ্গল। বিপক্ষে যতই কোচির ৬০ হাজার দর্শক থাকুন, চাপের মুখে কেরলের ঘরের মাঠ থেকে তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নিতে চাইছে লাল-হলুদ।
শুক্রবার ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত জানালেন, কেরল ম্যাচে চাপ থাকবেই। সেটা সামলেই জিততে হবে। সবে একটা ম্যাচ হওয়ায় এখনই চিন্তিত হতে বারণ করছেন তিনি। বলেছেন, “আমরা তিন পয়েন্টের জন্যই লড়াই করতে নামব। এখানে এসেছি তিন পয়েন্টের জন্যই। ভাল ফুটবল খেলতেও চাই।”
কুয়াদ্রাতের সংযোজন, “আমরা দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামছি। প্রথম ম্যাচে পয়েন্ট পাওয়ার কাছাকাছি ছিলাম। শেষের দিকে একটা সহজ সুযোগ পেয়েছিলাম। ম্যাচে প্রতিপক্ষের থেকে বেশি সুযোগ পেয়েছি। তবে মরসুমের শুরুতে এ রকম সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। সব দলই নিজেদের সেরা একাদশ বাছার চেষ্টা করছে। আমরা কঠোর অনুশীলন করছি। খেলোয়াড়দের মানসিকতা দেখে ভাল লাগছে। রবিবার আমাদের কাছে তিন পয়েন্ট পাওয়ার আরও একটা সুযোগ।”
দলের গোল খাওয়া নিয়েও বিশেষ ভাবতে চান না কুয়াদ্রাত। তাঁর মতে, উন্নতির সময় রয়েছে। বলেছেন, “সবে মরসুম শুরু হয়েছে। আমাদের খেলোয়াড়েরা অনুশীলনে নিজেদের নিংড়ে দিচ্ছে। যত ম্যাচ যাবে তত আমাদের রক্ষণ ভাগ শক্তিশালী হয়ে উঠবে। হেক্টর সবে আগের দিন প্রথম ম্যাচ খেলল। এখনও অনেক দিন আমরা একসঙ্গে খেলব। আমি কী করতে চাইছি সেটা নতুন খেলোয়াড়েরা এ বার বুঝতে পারছে।”
ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে হেরেছে কেরল। ইস্টবেঙ্গলের সামনে তারা আবারও নামবে ৬০ হাজার দর্শককে সঙ্গে নিয়ে। সেটা কি বাড়তি চাপে ফেলবে ইস্টবেঙ্গলকে? কুয়াদ্রাতের জবাব, “চাপ তো ফুটবলে সব সময়েই থাকে। কেরলের সমর্থকদের আবেগ অন্য রকম। প্রত্যেকেই জয় দেখতে চায়। আমাদের সমর্থকেরাও তাই। তবে আমরা চাপ সামলানোর জন্য তৈরি। দিমি আগে অনেক দেশে খেলেছে। ও জানে কী ভাবে চাপ সামলাতে হয়। বাকিরাও তৈরি রয়েছে।”
প্লেয়ার স্টেটাস কমিটি নির্দেশ দেওয়ায় রবিবার আনোয়ার আলির খেলতে সমস্যা নেই। তাঁকে কি প্রথম একাদশে দেখা যাবে? কুয়াদ্রাতের জবাব, “দেখা যাক। আমরা সেরা প্রথম একাদশই নামাব।”
গত দু’মরসুমে কেরলের হয়ে খেলা এবং গত বারের সর্বোচ্চ গোলদাতা দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস আবার কোচির মাঠে নামবেন। তবে এ বার হলুদ জার্সিতে নয়, লাল-হলুদ জার্সিতে। কেরলে ফেরা নিয়ে দিমিত্রি বলেছেন, “আবার কেরলে ফিরলাম। শেষ দু’বছর খুব ভাল কেটেছে। তবে এখন নতুন দল, নতুন ক্লাবে রয়েছি। তাদের হয়ে ট্রফি জয়ের চেষ্টা করব। তিন পয়েন্ট নিয়েই ফিরতে চাই। কেরল আমাকে খুব ভাল ভাবে রেখেছিল। তবে এখন সে সব অতীত। নতুন দলকে ম্যাচ জেতাতে চাই।”