ম্যাচ জিতে উল্লাস ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের। ছবি: টুইটার
কলকাতা লিগের খেলায় ঘরের মাঠে খিদিরপুরকে গোলের মালা পরাল ইস্টবেঙ্গল। ১০ গোল দিল তারা। লাল-হলুদের হয়ে হ্যাটট্রিক করলেন বিষ্ণু পিভি ও মহীতোষ রায়। বিষ্ণু একাই করেন চার গোল। প্রথমার্ধেই বিপক্ষের জালে হাফ ডজন গোল পুরে দেয় ইস্টবেঙ্গল। বাকি চারটি গোল দ্বিতীয়ার্ধে। একটি মাত্র গোল করতে পারে খিদিরপুর। গোটা ম্যাচ জুড়ে একপেশে খেলা হল। এই জয় লিগের পরবর্তী ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গলের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়াল।
ম্যাচের শুরু থেকেই চাপ বাড়াতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। ৬ মিনিটেই প্রথম গোল পেয়ে যায় তারা। ফ্রি কিক থেকে গোল করেন বিষ্ণু। চার মিনিট পরে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন বিষ্ণু। খিদিরপুরের রক্ষণের ভুলে গোল করেন তিনি। দু’গোল খাওয়ার পরে রক্ষণ কিছুটা গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে খিদিরপুর। তাতে কাজ হয়নি। ক্রমাগত আক্রমণ করতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। ৩৬ মিনিটেই নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন বিষ্ণু।
প্রথমার্ধে আরও গোল হওয়া বাকি ছিল। ৩৮ মিনিটের মাথায় নিজের প্রথম গোল করেন মহীতোষ। ৪৩ মিনিটের মাথায় লাল-হলুদ গোলরক্ষক আদিত্য পাত্রের ভুলে গোল করেন খিদিরপুরের প্রদীপ পাল। ওই এক বারই লাল-হলুদ বক্সে ভাল আক্রমণ করেছিলেন তাঁরা। যদিও পরের মিনিটেই ফের চার গোলের ব্যবধান করেন মহীতোষ। প্রথমার্ধের সংযুক্তি সময়ে নিজের তিন নম্বর গোল করেন তিনি। লাল-হলুদের দুই ফুটবলার প্রথমার্ধেই নিজেদের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। ৬-১ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিটের মাথায় নিজের চার নম্বর গোল করেন বিষ্ণু। তার তিন মিনিট পরে আবার গোল। এ বার গোল করান বিষ্ণু। তাঁর পাস থেকে গোল করেন জেসিন টিকে। ৭০ মিনিটের মাথায় আসে ইস্টবেঙ্গলের নবম গোল। এ বার গোল করেন ভিপি সুহের। ১০ মিনিট পরে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন সুহের। ১০-১ গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ। সুহেরও হ্যাটট্রিক করতে পারতেন। পরের ১০ মিনিটে আর গোল করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। শেষ পর্যন্ত ১০-১ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে তারা।