গোলের পর সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাস অভিষেকের। ছবি: টুইটার।
কলকাতা লিগে বৃহস্পতিবার প্রথম নিজেদের মাঠে খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জিতল তারা। আমনের জোড়া গোলে ইস্টার্ন রেলকে তারা হারাল ৫-১ ব্যবধানে। আমন ছাড়াও গোল পেলেন অভিষেক কুঞ্জুম, গুইতে ভানলালপেকা এবং রাজিবুল।
ময়দানের বাকি দুই প্রধান মোহনবাগান এবং মহমেডান আগেই নিজেদের মাঠে খেলে নিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল প্রথম বার নামায় স্বাভাবিক ভাবেই উত্তেজনা ছিল সমর্থকদের মধ্যে। লাল-হলুদ আবির, টিফো এবং পাইরো (এক ধরনের মশাল) নিয়ে হাজির ছিলেন তাঁরা। এই ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত এবং সহকারী কোচ দিমাস দেলগাদো। প্রথম দলের কিছু ফুটবলারও ছিলেন সঙ্গে। ক্লাবের সদ্যনির্মিত ভিভিআইপি বক্সে বসে খেলা দেখেছেন তাঁরা।
কোচকে সামনে পেয়ে এবং প্রথম দলে ঢোকার জেদেই শুরু থেকে আগ্রাসী খেলতে শুরু করেন ইস্টবেঙ্গলের তরুণ ফুটবলারেরা। রেলের বক্সে মুহুর্মুহু আক্রমণ করতে থাকেন। ২০ মিনিটের মাথায় রেলের বক্সের বাইরে ফ্রিকিক পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। আগের দিন একই জায়গা থেকে গোল করেছিলেন দীপ সাহা। এ দিন তাঁর ফ্রিকিক ক্রসবারে লাগে। ফিরতি বল জালে জড়ান অভিষেক।
চার মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়াতে পারতেন তিনি। প্রতি আক্রমণ থেকে তাঁর শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান গুইতে। বক্সের বাইরে থেকে আলগা বল পেয়ে ভাল শটে গোল করেন মণিপুরের ফুটবলার। প্রথম গোলের পর থেকেই গ্যালারিতে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছিল। তা আরও বাড়ে দ্বিতীয় গোলের পর। উড়তে থাকে আবির। উৎসব সেখানেই থামেনি। ৩৬ মিনিটে দলের তৃতীয় গোল করেন আমন সিকে। ডান দিক থেকে দৌড়ে দূরের পোস্ট লক্ষ্য করে শট নিয়ে গোল করেন তিনি। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধেও শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের পায়েই। গুইতের কাছে আরও একটু সুযোগ এসেছিল গোল করার। তবে পারেননি। এর মাঝেই ব্যবধান কমান ইস্টার্ন রেলের সাগর কুমার। কিন্তু এই ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো ক্ষমতা ছিল না রেলের ফুটবলারদের। ৭৮ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন আমন। কুশ ছেত্রীর সঙ্গে পাস খেলে গোলকিপারের পাশ দিয়ে বল জালে জড়ান। ম্যাচ শেষের তিন মিনিট আগে গোল রাজিবুল মিস্ত্রির। তাঁকে অ্যাসিস্ট করেন কুশই।