কলকাতা লিগের ডার্বির একটি মুহূর্ত। ছবি: এক্স।
১৯২৫ সাল থেকে দুই দলের খেলা শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল দেশের ২২টি শহরে ৩৪০টি ম্যাচে খেলেছে। তবে কখনও লখনউয়ে খেলেনি। সেই শহর তথা উত্তরপ্রদেশের মানুষ প্রথম বার এই লড়াই উপভোগ করার সুযোগ পেতে চলেছেন সোমবার।
লখনউয়ের ক্রীড়া ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যোগ হতে চলেছে সোমবার। কেডি সিংহ বাবু স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬.৩০টা থেকে খেলবে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল। তবে দুই প্রধানেরই রিজ়ার্ভ দল এই ম্যাচে খেলতে নামবে। আয়োজক সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা। তার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের ফুটবল সঙ্ঘ সহায়তা করছে। এই সুযোগে উত্তরপ্রদেশের ৭৫টি জেলার ২১,৫৫১টি স্কুলে ৯৬,৪৫৫টি ফুটবল দেবে এআইএফএফ।
ইস্টবেঙ্গল লখনউ শহরে চলে গিয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় অনুশীলন করবে। মোহনবাগান সন্ধ্যায় শহরে পৌঁছে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই অনুশীলনে নামবে। মোহনবাগানের কোচ ডেগি কার্ডোজ়ো বলেছেন, “ডার্বি সব সময়েই সমর্থকদের উত্তেজিত করে। সে যেখানেই খেলা হোক না কেন। আমরা ভাল মতো প্রস্তুতি নিয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে এই ম্যাচ খেলতে চাই।”
তিনি আরও বলেছেন, “এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে এই ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব নিয়ে খুব ভাল কাজ করেছেন। উত্তরপ্রদেশের ফুটবলের প্রসার হবে বলেই আশা করি। অনেক তরুণ ফুটবলারকে উঠে আসতে দেখতে চাই।”
ইস্টবেঙ্গলের কোচ বিনো জর্জ বলেছেন, “দুই দলেরই প্রচুর সমর্থন রয়েছেন। দুই দল মুখোমুখি হলেই তারা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ফুটবলারদেরই একই অবস্থা হয়। সমর্থকেরা ইতিমধ্যেই আমাকে বার্তা পাঠাতে শুরু করেছেন। খুব ভাল ম্যাচ হবে বলেই মনে হচ্ছে।”