রাজস্থানের বিরুদ্ধে আটকে গেল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। ছবি ডুরান্ড কাপের সৌজন্যে
ডুরান্ড কাপের দ্বিতীয় ম্যাচেও জিততে ব্যর্থ ইমামি ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ম্যাচে ভারতীয় নৌসেনার বিরুদ্ধে ড্র করার পর বৃহস্পতিবার রাজস্থান ইউনাইটেডের বিরুদ্ধেও আটকে গেল তারা। এই ম্যাচও গোলশূন্য। ফলে ডুরান্ডে কাপে দু’টি ম্যাচ খেলে ফেললেও ইমামি ইস্টবেঙ্গল এখনও গোল করতে পারেনি। প্রস্তুতি ম্যাচেও তাদের গোল হয়নি। ফলে চলতি মরসুমে এখনও পর্যন্ত যে তিনটি ম্যাচ খেলেছে লাল-হলুদ, প্রতিটিই শেষ হয়েছে গোলশূন্য ভাবে।
এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল রাজস্থান। অনেকেই মনে করেছিলেন, দ্বিতীয় ম্যাচেও চমক দেখা যেতে পারে। তা হয়নি। যদিও রাজস্থান এই ম্যাচে একটি পেনাল্টি পেয়ে নষ্ট করেছে। তবু গোটা ম্যাচে এমন আহামরি ফুটবল তারা খেলেনি যা দেখে মনে হয়েছে জিততে পারে। বরং প্রথম ম্যাচে অনেক বেশি আকর্ষক ফুটবল খেলেছিল তারা।
আগের ম্যাচে কোনও বিদেশি না রাখলেও, রাজস্থানের বিরুদ্ধে দুই বিদেশি নিয়ে দল সাজিয়েছিলেন ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন। আলেক্স লিমা আগের ম্যাচে পরিবর্ত হিসাবে নেমেছিলেন। এ দিন প্রথম একাদশে। পাশাপাশি, লাল-হলুদ জার্সি গায়ে অভিষেক হল কারালাম্বোস কিরিয়াকুর।
প্রথম থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। রাজস্থানকে বিশেষ বলের নিয়ন্ত্রণ দিচ্ছিল না। তবে এটিকে মোহনবাগানের যা সমস্যা, তা রয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গলেও। গোল করার লোকের অভাব। ভিপি সুহের চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু বল জালে জড়াতে পারছিলেন না। সুমিত পাসি এ দিনও সুযোগ নষ্ট করলেন একের পর এক। প্রথমার্ধে একটা ভাল সুযোগ পেয়েছিল লাল-হলুদ। অনিকেত যাদবের পাস থেকে দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন অমরজিৎ সিংহ কিয়াম। বারে লেগে তা মাঠের বাইরে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। স্রোতের বিরুদ্ধে গিয়ে পেনাল্টি পেয়ে যায় রাজস্থান। কিন্তু সের্জিয়ো বারবোজার দুর্বল শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন লাল-হলুদ গোলরক্ষক কমলজিৎ সিংহ। এর পরেও ইমামি ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ বজায় ছিল। কিন্তু দলে সঠিক ফিনিশার না থাকায় গোল করতে পারেনি তারা।
দু’টি ম্যাচই ড্র করায় দু’পয়েন্ট নিয়ে ইমামি ইস্টবেঙ্গল পয়েন্ট তালিকায় এখন তৃতীয় স্থানে। এক ধাপ নীচে এটিকে মোহনবাগান।