ভরসা: সুপার কাপের প্রস্তুতিতে মগ্ন দিমিত্রি। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
সুপার কাপে যাত্রা শুরু করার চব্বিশ ঘণ্টা আগেই স্বস্তি ফিরল এটিকে-মোহনবাগান শিবিরে। কলকাতায় ফিরে রবিবার সকালে দলের সঙ্গে অনুশীলন করে কোঝিকোড় উড়ে গেলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। দলের সেরা স্ট্রাইকারের প্রত্যাবর্তনে আজ, সোমবার গোকুলম এফসি-র বিরুদ্ধে প্রথম একাদশ গড়া নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করতে হবে না সবুজ-মেরুন কোচ জুয়ান ফেরান্দোকে।
গোয়ায় বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল যে দল, তাতে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষপাতী নন সবুজ-মেরুনের স্পেনীয় কোচ। ব্রেন্ডন হামিল না থাকায় তিরির ফেরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। অস্বস্তি রয়েছে মনবীর সিংহ, আশিক কুরুনিয়নের চোট নিয়ে।
মোহনবাগান-গোকুলম ম্যাচ মানেই ফুটবলে বাংলা বনাম কেরল শ্রেষ্ঠত্বের দ্বৈরথ। গত বছর এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে প্রীতম কোটালদের ৪-২ গোলে হারিয়েছিল আই এম বিজয়নের রাজ্যের দল। দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালে উঠেছিলেন হুগো বুমোসরা। আইএসএল জিতে ভারত সেরাও হয়েছেন তাঁরা। তা সত্ত্বেও সেই হারের যন্ত্রণা ভুলতে পারেননি। দলের সঙ্গে জুয়ানের কোঝিকোড়ে পৌঁছনোর কথা রাত ন’টা নাগাদ। সাংবাদিক বৈঠকে মোহনবাগানের সহকারী কোচ বাস্তব রায় এসেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আইএসএলে জয় আমাদের কাছে অতীত। সুপার কাপ সম্পূর্ণ আলাদা। একটা দিন যদি খারাপ যায়, খালি হাতে ফিরতে হবে।’’ একই সুর শোনা গিয়েছিল জুয়ানের গলাতেও। আইএসএল জয় তাঁর কাছেও এখন অতীত। বলেছেন, ‘‘গোকুলম বনাম মহমেডান ম্যাচ টিভিতে দেখেছি। কোচ বদলের পরে ওরা এখন অনেক বেশি আক্রমণাত্মক খেলছে। যে কোনও প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচ সব সময়ই কঠিন হয়। ফাইনাল মনে করেই আমরা নামব।’’
সোমবার সুপার কাপে: এটিকে-মোহনবাগান বনাম গোকুলম (বিকেল ৫.০০, সোনি স??????? ??)?্পোর্টস টু)।