দিয়েগো মারাদোনা। — ফাইল চিত্র।
দিয়েগো মারাদোনার মৃত্যুর আসল কারণ খুঁজতে আর্জেন্টিনার আদালতে চলছে শুনানি। সেখানেই একটি তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ। তাঁর দাবি, তীব্র কষ্টে মৃত্যু হয়েছে মারাদোনার। মৃত্যুর আগে অন্তত ১২ ঘণ্টা অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ফরেনসিক চিকিৎসক কার্লোস কাসিনেল্লি আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মারাদোনার দেহের ময়নাতদন্ত করেছিলেন তিনিই। সেই কার্লোস বলেছেন, “গোটা হৃদ্যন্ত্র চর্বি এবং জমাট বাঁধা রক্তে পুরোপুরি ঢাকা ছিল। এতেই বোঝা গিয়েছে মৃত্যুর আগে উনি কতটা কষ্ট পেয়েছেন।”
ময়নাতদন্তের পর জানানো হয়েছিল, মারাদোনা ‘অ্যাকিউট পালমোনারি ওডেমা’র কারণে মারা গিয়েছেন, যা থেকে হৃদ্যন্ত্র বিকল হয়ে গিয়েছিল। তবে কার্লোসের দাবি, মারাদোনা এমন রোগী ছিলেন না যাঁকে বাড়িতেই চিকিৎসা করা যেত। তাঁর কথায়, “উনি এমন রোগী ছিলেন যাঁর ফুসফুসে মৃত্যুর অন্তত ১০ দিন আগে থেকে জল জমছিল। এটা ঠিক নয়। ওঁর চিকিৎসায় যাঁরা জড়িত ছিলেন তাঁদের আগে থেকেই এটা বোঝা উচিত ছিল।”
তদন্তে দেখা যাচ্ছে, কয়েক জন সাক্ষী জানিয়েছেন, মৃত্যুর সময় মারাদোনার মুখ এবং তলপেট অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে ছিল। মৃত্যুর আগে বেশ কয়েক দিন তাঁর শরীর একেবারেই ভাল ছিল না।
২০২০-র নভেম্বরে মৃত্যু হয় মারাদোনার। তখন থেকেই অভিযোগ উঠেছিল যে এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। বুয়েনোস আইরেসের একটি আদালতে মারাদোনার মৃত্যুরহস্য নিয়ে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন সাত জন, যাঁর মধ্যে মারাদোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিয়োপোল্দো লিউক এবং মনোচিকিৎসক অগাস্তিনা কোসাচভ রয়েছেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত মারাদোনা যে ওষুধ খেতেন, তা কোসাচভের পরামর্শেই।
অভিযুক্তেরা দোষী প্রমাণিত হলে আট থেকে ২৫ বছর জেল হতে পারে। শুনানি শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার। আগামী চার মাসে তা চলতে পারে। এর মধ্যে ১২০ জন সাক্ষ্য দিতে পারেন।