ডায়মন্ড হারবার ক্লাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন। ফাইল ছবি
চেনা শহর, চেনা পরিবেশ, চেনা উন্মাদনা। বুধবার সকালে কলকাতায় পা দিয়ে সবই দেখতে পেলেন কিবু ভিকুনা। শুধু এ বার তাঁর মঞ্চ আলাদা। তিনি এখন আর কলকাতা ময়দানের প্রতিষ্ঠিত কোনও ক্লাবের কোচ নন। বরং কিছুদিন আগে জন্ম নেওয়া এবং প্রথম মরসুমেই কলকাতা লিগ খেলতে চলা একটি ক্লাবের কোচ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাবের দায়িত্ব নিতে শহরে চলে এলেন ভিকুনা। অতীতে মোহনবাগানকে আই লিগ জিতিয়েছেন। এ বার সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ।
এ দিন কলকাতা বিমানবন্দরে অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখা গেল। এত দিন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান বা মহমেডান বাদে কলকাতার অন্য কোনও ক্লাবের কোচ এলে কাকপক্ষীতেও টের পেত না। তবে এ দিন বিমানবন্দরের গেট থেকে বেরিয়ে স্প্যানিশ কোচ দেখলেন, বাইরে জনসমুদ্র। পতাকা, ফেস্টুন হাতে হাজার হাজার সমর্থক তাঁকে স্বাগত জানালেন। উঠল ‘কিবু, কিবু’ ধ্বনিও। সদ্য তৈরি হওয়া একটা ক্লাবের এ রকম জনসমর্থন ভাবতেই পারছিলেন না সচিব মানস ভট্টাচার্য। আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “আগে তো তিন প্রধানের কোচের বেলায় এই জিনিস দেখা যেত। ডায়মন্ড হারবারের কোচ এলেও যে এ রকম জনসমর্থন দেখতে পাওয়া যাবে, সেটা ভাবিইনি। কিবু নিজেও অভিভূত। শহর ছেড়ে গিয়েছিলেন বছর তিনেক আগে। এখনও কাউকে ভোলেননি তিনি। সবার সঙ্গে হেসে কথা বলেছেন।”
কলকাতায় ভিকুনা। ছবি টুইটার
বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমকে ভিকুনা বলেছেন, “কলকাতায় কোচিং করাতে আসা সব সময়েই উত্তেজনার। এখানকার মানুষ যে ভাবে ফুটবলটা বোঝে, সেটা অতুলনীয়। ভাবিনি এত লোক আমাকে স্বাগত জানাতে আসবে।” কিবু জানালেন, শুরুতেই সাহসী কোচিং করানোর পরিকল্পনা নেই তাঁর। ধাপে ধাপে এগোতে চান তিনি। দলকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। তবে কলকাতায় এসে ভোলেননি পুরনো ক্লাবের কথা। মোহনবাগানের আই লিগ জয়ের সেই ম্যাচের স্মৃতি মনে করিয়ে ভিকুনা বলেছেন, “কল্যাণীতে সেই ম্যাচে মানুষের অফুরান ভালবাসা পেয়েছিলাম। ফুটবল নিয়ে এখানকার মানুষের আবেগ দেখেছি। সেগুলো ভোলার নয়।”
মানস জানালেন, মাঝে এক দিনের বিরতির পর দলের ফুটবলারদের নিয়ে অনুশীলনে নেমে পড়বেন ভিকুনা। এত দিন পর্যন্ত দল যা অনুশীলন করেছে, তা ভিকুনার নির্দেশেই। পোল্যান্ড থেকেই তিনি প্রযুক্তির সাহায্যে নির্দেশ দিয়েছেন সহকারীদের। মূলত কমবয়সি ফুটবলারদের নিয়ে কাজ করতেই পছন্দ করেন তিনি। মোহনবাগানের কোচ থাকার সময় তাঁর হাত ধরেই উঠে এসেছিলেন শুভ ঘোষ, কিয়ান নাসিরি, সৌরভ দাস, শেখ সাহিলরা। ডায়মন্ড হারবার দলেও এ রকম ফুটবলার পাবেন তিনি। সফি, তীর্থঙ্কর সরকার, ফুলচাঁদ হেমব্রম, সন্দীপ পাত্র, আশিস প্রধানের মতো ফুটবলারদের সই করিয়েছে ডায়মন্ড হারবার।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।