উল্লাস: গোলের পরে ডেভিড লালয়ানসাঙ্গা। সঙ্গী অভিজিৎ। ছবি: আইএফএ।
অনবদ্য ডেভিড লালয়ানসাঙ্গা। ডুরান্ডের পরে কলকাতা লিগেও স্বমহিমায় তিনি। শনিবার কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনে কালীঘাট মিলন সংঘের বিরুদ্ধে তাঁর পা থেকে এল দুটি অনবদ্য গোল। জয়ের ফলে ডায়মন্ডহারবার এফসিকে পিছনে ফেলে মহমেডানও পৌঁছে গেল গ্রুপ ‘এ’-র শীর্ষে। ৯ ম্যাচে ডেভিডদের পয়েন্ট দাঁড়াল ২৪। লিগে দশ গোল ইতিমধ্যেই করে ফেললেন মহমেডানের তারকা।
তবে প্রথমার্ধের ১০ মিনিট মহমেডান সেরকম সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ম্যাচের বয়স যখন ১৩ মিনিট, ডানদিক থেকে শট নেন কালীঘাটের সাকিরুল আলি। পিচ্ছিল মাঠে সেই বলে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি মহমেডানের গোলরক্ষক লালবিয়াখলুয়া জংতে। চলতি বল জালে জড়িয়ে দেন অসিত হেমব্রম। এই গোলের পরেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন লালরেমসাঙ্গারা। মুহুর্মুহু আক্রমণ শানিয়ে যেতে থাকেন বিকাশ সিংহরা।
২১ মিনিটে ডান দিক থেকে পাস বাড়ান জ়ুডিকা, সেই বল নিয়ে বিকাশ বাঁ পায়ে ইনসাইড কাট করে বক্সে ঢুকে ক্রস করেন অভিজিৎ সরকারকে। গোল করতে ভুল করেননি লিগে চার গোলের মালিক। এর পরে প্রথমার্ধের খেলা পুরোটাই ডেভিডময়। ২৬ মিনিটে মাঝমাঠের কিছুটা উপর থেকে একক প্রচেষ্টায় চার জনকে কাটিয়ে শিল্পীর ছোঁয়ায় গোল করেন এই মিজ়ো ফুটবলার। ৪৫ মিনিটে জ়ুডিকার পাস থেকে বিপক্ষ বক্সের মধ্যে ডান পায়ে ছোট চিপ তুলে এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন জেজে লালপেখলুয়ার ভক্ত ডেভিড।
দ্বিতীয়ার্ধে ক্রমশ ক্লান্তি গ্রাস করতে থাকে মহমেডানকে। তবে সারা ম্যাচ জুড়ে মাঝমাঠে দাপিয়ে খেললেন অভিষেক হালদার। ৮০ মিনিটে তুষার হেমব্রমের পাস থেকে গোল করেন কালীঘাটের সুরজিৎ হালদার। ম্যাচের পরে অবশ্য মহমেডানের অন্তর্বর্তী কোচ সাহিদ রামন বলেন, “বিশ্রাম না নিয়ে খেলাটা ফুটবলারদের উপরে প্রভাব ফেলছে। তবে দলের উপরে আস্থা রয়েছে।”
মহমেডান: লালবিয়াখলুয়া জংতে, জেমস সিংহ, অভিষেক হালদার, অভিজিৎ সরকার (গণেশ বেসরা), আদিঙ্গা, দীপু হালদার, ডেভিড লালয়ানসাঙ্গা, বিকাশ সিংহ (আঙ্গুসানা), লালরেমসাঙ্গা (ডেনজ়িল), জ়ুডিকা (সামাদ আলি মল্লিক), তন্ময় ঘোষ।