ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ছবি: রয়টার্স।
ইউরো কাপের প্রথম ম্যাচে চেকিয়ার (চেক প্রজাতন্ত্রের নতুন নাম) বিরুদ্ধে সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে পারেননি। প্রথম একাদশে তাঁকে রাখা উচিত কি না সেই প্রশ্নও উঠেছে। কিন্তু শনিবার তুরস্কের বিরুদ্ধে পর্তুগালের নামার সময় নজর থাকবে সেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দিকেই। গ্রুপের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ সম্ভবত এ দিনই খেলতে চলেছে পর্তুগাল।
২০২২ বিশ্বকাপের নকআউটে রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশে জায়গা দেননি তৎকালীন কোচ ফের্নান্দো সান্তোস। তবে এখনকার কোচ রবার্তো মার্তিনেসের অগাধ আস্থা রয়েছে রোনাল্ডোর প্রতি। তিনিই দলের অধিনায়ক এবং চেকিয়ার বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে পুরো সময় খেলেছেন।
পর্তুগালের বিরুদ্ধে চেকিয়া প্রথমার্ধে জমাট রক্ষণ রেখেছিল। রোনাল্ডোকেও থাকতে হয়েছিল কড়া মার্কিংয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে চেকিয়া আক্রমণ করায় পর্তুগাল গোলও খেয়ে যায়। পরে দু’টি গোল করে ম্যাচ জেতে। তবে আগের ম্যাচে জর্জিয়াকে হারানো তুরস্ক অত বেশি রক্ষণ করে না। তারা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেই অভ্যস্ত। ফলে রোনাল্ডো এবং তাঁর সতীর্থদের সামনে খেলার জায়গা থাকবে।
তবে আক্রমণেও তুরস্ক নেহাত ফেলনা নয়। আগের ম্যাচে ভাল গোল করা আর্দা গুলার ক্রমশ আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিজেকে চেনাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত প্রতিযোগিতার অন্যতম সেরা গোল এসেছে তার পা থেকেই। রোনাল্ডোর নজির ভেঙে ইউরোর সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হয়েছেন। সেই রোনাল্ডোর বিরুদ্ধেই শনিবার নামবেন গুলার।
শনিবারের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি জর্জিয়া এবং চেকিয়া। সেই ম্যাচ ড্র হলে পর্তুগাল বা তুরস্ক যে-ই জিতুক, তারা গ্রুপের প্রথম স্থান দখল করে পরের পর্বে চলে যাবে। তুরস্ক টানা দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে ডর্টমুন্ডে। আগের ম্যাচে তুরস্কের সমর্থকেরাই মাঠ ভরিয়ে দিয়েছিলেন। শনিবারও একই দৃশ্য দেখা যেতে পারে।
ম্যাচের আগে পর্তুগালের কোচ মার্তিনেস বলেছেন, “চেকিয়ার বিরুদ্ধে আমরা ভাল খেলেছি। এক গোল খেয়েও যে পিছিয়ে পড়ি না, সেটা প্রমাণ করে দিয়েছি। তুরস্কের বিরুদ্ধেও আমাদের সবাইকে তৈরি থাকতে হবে। সে কেউ প্রথম একাদশে থাকুক বা না থাকুক।”
স্ট্রাইকার রাফায়েল লিয়াও একটু সতর্ক। তিনি বলেছেন, “আমার ধারণা হাকান (কালহানোগ্লু, তুরস্ক অধিনায়ক) একাই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। আমি ওকে চিনি। একসঙ্গে এসি মিলানে খেলেছি। অসাধারণ স্ট্রাইকার এবং টেকনিকও দারুণ। আলপার ইলমাজ়ও রয়েছে। দ্রুতগতির খেলোয়াড়। তবে আলাদা করে কেউ নয়, ওদের গোটা দলই আমাদের সমস্যায় ফেলতে পারে।”
এ দিকে, শনিবার টিকে থাকার লড়াইয়ে নামছে বেলজিয়াম। আগের ম্যাচে অনেক সুযোগ নষ্ট করে স্লোভাকিয়ার কাছে হেরেছে তারা। রোমেলু লুকাকু একাই তিনটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন। তাঁর দুটি গোল বাতিলও হয়। বেলজিয়ামের হার এখনও এ বারের ইউরোয় সবচেয়ে বড় অঘটন। ফলে বেলজিয়ামের নতুন কোচ ডোমেনিকো টেডেস্কোর কাছে কঠিন কাজ।
বেলজিয়ামকে ইউরোয় টিকে থাকতে হলে শনিবার রোমানিয়াকে হারাতেই হবে। ইউক্রেনকে আগের ম্যাচে অনায়াসে রোমানিয়া হারানোয় তারা আত্মবিশ্বাসী। বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে জয় রোমানিয়াকে পরের পর্বে তুলে দিতে পারে। শুক্রবার ইউক্রেন স্লোভাকিয়াকে হারানোয় গ্রুপের লড়াই আরও জমে গিয়েছে। ফলে রোমানিয়াকে হারানো ছাড়া আর বিকল্প নেই টিনটিনের দেশ বেলজিয়ামের কাছে।