ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ছবি: রয়টার্স।
ইউরো কাপে প্রতি ম্যাচেই দর্শকদের আচরণ প্রশ্নের মুখে পড়ছে। বুধবার পর্তুগাল-জর্জিয়া ম্যাচেও সে ঘটনা দেখা গেল। দর্শকাসন থেকে ঝাঁপ মেরে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর কাছে পৌঁছতে গেলেন এক ভক্ত। নিরাপত্তারক্ষীরা কোনওক্রমে তাঁকে রুখলেও, তিনি রোনাল্ডোর উপর পড়লে বড় ধরনের চোট পেতে পারতেন পর্তুগালের অধিনায়ক।
তখন ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছে। রোনাল্ডো টানেলের সিঁড়ি দিয়ে সাজঘরে নামছিলেন। হঠাৎই এক দর্শক বাধা টপকে ঝাঁপিয়ে রোনাল্ডোর সামনে নামতে গিয়েছিলেন। ওই দর্শকের মতিগতি অনুমান করতে পেরে তিনি শূন্যে থাকা অবস্থাতেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে আটকে দেন। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
দেখা গিয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীরা যদি শেষ মুহূর্তে গিয়ে ওই দর্শককে না আটকাতেন, তা হলে সরাসরি রোনাল্ডোর ঘাড়ে গিয়ে পড়তেন তিনি। সে ক্ষেত্রে বড় ধরনের চোট লাগতে পারত রোনাল্ডোর। সেই ঘটনা কোনও ক্রমে এড়ানো গিয়েছে।
তুরস্ক ম্যাচেও দর্শকদের আচরণে বিড়ম্বনার মুখে পড়তে দেখা গিয়েছিল রোনাল্ডোকে। ম্যাচের মাঝে মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন অন্তত চার জন দর্শক। প্রত্যেকেরই উদ্দেশ্য ছিল রোনাল্ডোর সঙ্গে নিজস্বী তোলা। প্রথম জন নিজস্বী তোলার পর বাকি ঘটনাগুলিতে রোনাল্ডো বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন।
তুরস্ক ম্যাচের পর পর্তুগালের কোচ রবার্তো মার্তিনেস বলেছিলেন, “এটা খুবই চিন্তার বিষয়। আজ নেহাত দর্শকদের মতিগতি ভাল ছিল। দলের তারকা ফুটবলারকে তাঁর দেশের লোকেরা ভালবাসবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা সেটা পছন্দও করি। তবে এটাও মানতে হবে কারও মতিগতি ঠিকঠাক না থাকলে সামলানো মুশকিল হয়ে যায়। তখন খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। আমার মনে হয় না খেলোয়াড়দের সুরক্ষা নিয়ে আপস করা উচিত। দর্শকদের কাছেও একটা বার্তা দিয়ে বলা উচিত যে, এটা ঠিক নয়।”