UEFA Euro 2024

আঁধারে ডুবে গিয়েও আলোয় রোনাল্ডো

গোলশূন্য থাকা ম্যাচে পর্তুগাল এগিয়ে যাওয়ার সেরা সুযোগ পায় ম্যাচের ১০৫ মিনিটে। কিন্তু পর্তুগিজ তারকার শট রুখে দিয়ে আবহই পাল্টে দিয়েছিলেন স্লোভেনিয়ার গোলকিপার ইয়ান ওবলাক।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪ ০৮:৫৬
Share:

যোদ্ধা: ব্যর্থতা থেকেই শিক্ষা নিয়েছেন রোনাল্ডো। ছবি: সংগৃহীত।

কী ভাবে পাল্টে যেতে পারে জীবন! সোমবার স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে আরও একবার যেন তা প্রমাণ করে দিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো!

Advertisement

গোলশূন্য থাকা ম্যাচে পর্তুগাল এগিয়ে যাওয়ার সেরা সুযোগ পায় ম্যাচের ১০৫ মিনিটে। কিন্তু পর্তুগিজ তারকার শট রুখে দিয়ে আবহই পাল্টে দিয়েছিলেন স্লোভেনিয়ার গোলকিপার ইয়ান ওবলাক।

তার পরে গোটা বিশ্ব দেখল অন্য এক ছবি। শিশুদের মতো হাউহাউ করে কাঁদছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। তাকে সান্ত্বনা দিতে ছুটে আসছেন জাতীয় দলের সতীর্থরা। ডাগ-আউট থেকে বেরিয়ে এসে কপালে চুম্বন করে যাচ্ছেন রিজ়ার্ভে বেঞ্চে বসে থাকা ফুটবলাররাও। গ্যালারিতে বসে থাকা রোনাল্ডোর মায়ের দু-চোখ দিয়ে ঝরে পড়ছে অশ্রু!

Advertisement

কিন্তু পেনাল্টি নষ্টের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে টাইব্রেকারে করলেন গোল। সোমবার ফ্র্যাঙ্কফুর্ট স্টেডিয়ামে বসে থাকা ভক্তেরা দু-চোখ ভরে দেখলেন সেই মুহূর্ত। প্রথম শট নিতে এলেন পর্তুগাল দলের অধিনায়ক। এ বার ওলবাক পারেননি তা রুখে দিতে। বল জালে জড়িয়ে যেতেই দর্শকদের দিকে দু হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে নিলেন সি আর সেভেন। তার পরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। গোলের নীচে দুর্ভেদ্য হয়ে ওঠা দিয়েগো কোস্তা স্লোভেনিয়ার তিনটি শট রুখে দিয়ে পর্তুগালকে নিয়ে গেলেন শেষ আটে। কিন্তু ফুটবলপ্রেমীদের মনে বরাবরের জন্য বোধহয় স্থায়ী হয়ে গেল রোনাল্ডোর চোখের জল।

ম্যাচের পরে উয়েফা ওয়েবসাইটে রোনাল্ডো বলেন, ‘‘নিঃসন্দেহে এটাই আমার শেষ ইউরো। তবে তা নিয়ে আমি মোটেও আবেগপ্রবণ নই। ফুটবল যে ভাবে আমাকে এগিয়ে নিয়ে এসেছে, সেই উৎসাহ নিয়েই আমি এই খেলাকে উপভোগ করেছি। ২০ বছর ধরে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা এবং জাতীয় দলের হয়ে খেলা, মানুষের মনকে আনন্দে ভরিয়ে তোলা, পরিবার এবং সন্তানদের হাসিমুখগুলো প্রতিনিয়ত আমাকে ভাল খেলার শক্তি দিয়েছে।’’

পেনাল্টি নষ্ট নিয়ে রোনাল্ডো বলেন, ‘‘ফুটবল আমাকে শিক্ষা দিয়েছে যারা ব্যর্থ হয়, তারাই উঠে দাঁড়িয়ে চেষ্টা করে ফেরার। দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ এলেও তার সদ্ব্যবহার করতে পারিনি। সারা বছরে ব্যর্থ হইনি, কিন্তু যখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়ল তখনই পারলাম না।’’

সাংবাদিক বৈঠকে কোচ রবের্তো মার্তিনেসও মেনে নেন, এমন অসাধ্য সাধন একমাত্র রোনাল্ডোর পক্ষেই সম্ভব। বলেন, ‘‘পেনাল্টি নষ্ট করার পরে ওর যা মনের অবস্থা হয়েছিল, তার পরে টাইব্রেকারে প্রথম শট নিয়ে গোল করা খুব কঠিন ছিল।’’ যোগ করেন, ‘‘আমি জানতাম টাইব্রেকারে ও-ই প্রথম শট নিয়ে গোল করবে। ওকে পেয়ে আমরা গর্বিত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement