মোহনবাগান ক্লাবে বার পুজো। নিজস্ব চিত্র।
ময়দানে ফিরল পয়লা বৈশাখের চেনা ছবি। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান-সহ বিভিন্ন ক্লাবের বার পুজোয় ছিল চেনা উন্মাদনা, উৎসবের আমেজ। সঙ্গীতানুষ্ঠান, মিষ্টিমুখে জমজমাট ছিল ক্লাব তাঁবু।
করোনার জন্য গত দু’বছর ময়দানের ক্লাবগুলোয় বার পুজো হয়েছে নমো নমো করে। এ বার সদস্য, সমর্থকদের নিয়ে মহা সমারোহে অনুষ্ঠিত হল বার পুজো। মোহনবাগান তাঁবুতে এ দিন এসেছিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো, সহকারী কোচ বাস্তব রায়। ফুটবলারদের মধ্যে এসেছিলেন প্রীতম কোটাল, শুভাশিস বসু, লিস্টন কোলাসো, সুব্রত পাল, কিয়ান নাসিরিরা। এসেছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যে ছিলেন মানস ভট্টাচার্য, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
ফেরান্দো তো বটেই, দলের একাধিক ফুটবলার প্রথম বার সাক্ষী থাকলেন বার পুজোর। মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বার পুজোর অর্থ বুঝিয়ে কোচকে বললেন, সারা বছর আমাদের জালে যাতে বল না ঢোকে সেই জন্যই এই পুজো। অনুশীলনের তাড়া ছিল। তবু বেশ কিছুটা সময় ময়দানের তাঁবুতে ফুটবলরাদের নিয়ে কাটালেন ফেরান্দো। অভিভূত সবুজ মরুন কোচ বললেন, ‘‘নতুন অভিজ্ঞতা হল। অসাধারণ।’’ সদস্য, সমর্থকদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন কোচ, ফুটবলাররা। প্রীতম, শুভাশিসরা আগামী দিনেও ভাল পারফরম্যান্সের আশ্বাস দিলেন। আহ্বান জানালেন দলের পাশে থাকার। বার পুজোর পর কোচ, ফুটবলারদের ক্লাবের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হল। তুলে দেওয়া হল উপহার।
এএফসি কাপে মোহনবাগানের পরবর্তী খেলা ১৯ এপ্রিল আবাহনী ঢাকার বিরুদ্ধে। সে ম্যাচেও রয় কৃষ্ণকে পাবেন না ফেরান্দো। মোহন কোচ মেনে নিচ্ছেন কৃষ্ণর না থাকায় দলের আক্রমণভাগের শক্তি একটু কমবে। তিনি বললেন, ‘‘কৃষ্ণ পারিবারিক সমস্যার জন্য নেই। যারা আছে তাদের নিয়েই পরিকল্পনা করতে হবে।’’ আগামী মরসুম নিয়ে এখনই ভাবছেন না। ফেরান্দোর লক্ষ্য এখন আবাহনী ম্যাচ। শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টারের বিরুদ্ধে দল সহজে জিতলেও বাংলাদেশের ক্লাবটিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি।
এর আগে এক দিন ময়দান মার্কেটে এসেছিলেন ফেরান্দো। সে দিন মোহনবাগান তাঁবুতেও ঘুরে যান। শুক্রবার আবার এলেন। এ বার কর্তাদের আমন্ত্রণে। তাঁদের ঘিরে মোহনবাগান সমর্থকদের উৎসাহ, আবেগ দেখে গেলেন। উপভোগ করলেন বাংলা নববর্ষের মৌতাত।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে বার পুজো। নিজস্ব চিত্র।
অন্য দিকে, প্রথা মেনে বাংলা বছরের প্রথম দিনে বার পুজো হল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবেও। নির্ঘন্ট মেনে সকাল ৭.৫০ মিনিটে পুজো শুরু হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লাল-হলুদের কার্যকরী কমিটির সদস্য দেবব্রত সরকার, সহ সচিব রূপক সাহা-সহ ক্লাব কর্তারা। প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, বিকাশ পাঁজি, মিহির বসু, তরুণ দে, অলোক মুখোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, রহিম নবি, মেহতাব হোসেন-সহ এক ঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলার ছিলেন। বার পুজোর পর মিলিত ভাবে ক্লাবের পতাকা উত্তোলন করেন প্রাক্তন খেলোয়াড় ও ক্লাব কর্তারা। দেবব্রত সরকার এদিন জানালেন, আগামী মরসুমেও ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলবে। ছিল মিষ্টিমুখ এবং মধ্যাহ্নভোজের আয়োজনও।