বাইচুং ভুটিয়া। ফাইল ছবি
দু’দিন আগেই চিঠি পাঠিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থাকে (এআইএফএফ) নির্বাসিত করার হুমকি দিয়েছিল ফিফা। অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। রবিবার পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে প্রশাসকদের কমিটির (সিওএ) তরফে আশ্বাস দেওয়া হল ফিফা এবং এএফসি-কে। জানানো হল, এআইএফএফ সঠিক পথেই চলছে। একই সঙ্গে চিঠিতে তুলোধনা করা হল প্রাক্তন সভাপতি প্রফুল্ল পটেলকে।
ফিফার সেক্রেটারি জেনারেল ফতমা সামুরা এবং এএফসি-র দাতুক উইন্ডসর জনকে চিঠি পাঠিয়ে সিওএ জানিয়েছে, সভাপতি হিসাবে সরিয়ে দেওয়ার পরেই ফিফাকে চিঠি পাঠিয়ে প্রফুল্ল সবার আগে নির্বাসনের ব্যাপারটি প্রকাশ্যে এনেছিলেন। সিওএ-র দাবি, ১৬ বছর বিনা প্রশ্নে যিনি ক্ষমতায় থেকেছেন, তাঁর মুখে সংস্থা বিরোধী এ ধরনের কথা মানায় না। সভাপতি পদ থেকে সরানোর কারণেই নির্বাসনের বিষয়টি প্রফুল্ল প্রকাশ্যে এনেছেন বলে দাবি করা হয়েছে সিওএ-র তরফে।
সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই দ্রুত নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছে। সেই অনুযায়ী আগামী ২৮ অগস্ট নির্বাচন হবে। ফিফাকে পাঠানো চিঠিতে সিওএ আরও জানিয়েছে, সঠিক নির্দেশ মেনেই এআইএফএফ এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু মানুষ ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশে ফিফাকে বিপথে চালনা করার চেষ্টা করছেন। তাতে কোনও অসুবিধা হবে না বলেই আশ্বস্ত করা হয়েছে সিওএ-র তরফে।
এ দিকে, ফিফার সভাপতি পদে বাইচুং ভুটিয়াকে দেখতে চান প্রাক্তন ফুটবলাররা। নতুন সংবিধান অনুযায়ী এআইএফএফের কর্মসমিতিতে ৩৬ জন প্রাক্তন ফুটবলার রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে কেউ সভাপতি পদে লড়তে পারেন। ফলে বাইচুংয়ের ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা নেই।
ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক ব্রুনো কুটিনহো বলেছেন, “বাইচুংয়ের মতো কোনও ফুটবলার এআইএফএফের সভাপতি হয় তা হলে সেটা দেশের ফুটবলারদের জন্য সবচেয়ে ভাল হবে। তবে ও নির্বাচনে লড়তে চায় কি না সেটা বড় ব্যাপার।” রেনেডি সিংহ বলেছেন, “এত জন প্রাক্তন ফুটবলারকে কমিটিতে থাকতে দেওয়া নিঃসন্দেহে ভাল সিদ্ধান্ত। আশা করি প্রাক্তন ফুটবলাররা বাইচুংকে সমর্থন করবে।”