আইএসএল-জয়ীদের সংবর্ধনা দিতে মোহনবাগান মাঠে মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে দর্শকদের উদ্দেশে ফুটবল ছুড়ে দেন তিনি। ছবি: ফেসবুক।
আইএসএল-জয়ী মোহনবাগান কেন বিশ্বকাপ খেলবে না? সোমবার ক্লাবের তাঁবুতে প্রীতম কোটালদের সংবর্ধনা দিতে গিয়ে এই প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, সবুজ-মেরুনের এই কৃতিত্ব শুধু বাংলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সারা বিশ্বে তা ছড়িয়ে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন, এক দিন বিশ্বকাপ আসবে এই বাংলায়। অর্থাৎ, মোহনবাগান একদিন বিশ্বসেরা হবে।
মোহনবাগানের ফুটবলারদের সংবর্ধনা জানানোর পরে মুখ্যমন্ত্রীর কথায় আসে বিশ্বজয়ের কথা। তিনি বলেন, ‘‘মোহনবাগানের এই কৃতিত্ব আর বাংলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আপনারা ভারতসেরা। আমি চাই, আগামী দিনে আপনারা বিশ্বসেরা হবেন।’’ তার পরেই মমতার প্রশ্ন, কেন বিশ্বের বড় বড় দেশের বিরুদ্ধে খেলবে না মোহনবাগান? তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কেন মোহনবাগান এক দিন ব্রাজিলের সঙ্গে খেলবে না? কেন পোল্যান্ডের সঙ্গে খেলবে না? কেন ইটালির সঙ্গে খেলবে না? খেলতে হবে। এবং বিশ্বজয় করতে হবে।’’
ক্রীড়া প্রশাসনের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাখ্যা, মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বকাপ বলতে ফিফা আয়োজিত টুর্নামেন্টের কথা বলতে চাননি। সেটা নেহাতই ‘প্রতীকী’। তিনি বলতে চেয়েছেন বিশ্বে শ্রেষ্ঠ হওয়ার কথা। ব্রাজিল, পোল্যান্ড বা ইটালির মতো প্রথম সারির দলগুলির সঙ্গে সমানে-সমানে টক্কর নেওয়ার কথা। বিশ্বজয় অর্থ নিজেদের বিশ্বমানে নিয়ে যাওয়া। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দলগুলির সঙ্গে একাসনে বসা। বস্তুত, মোহনবাগান আগামী দিনে ‘বিশ্বজয়’ করতে পারবে বলেই আশা মুখ্যমন্ত্রী মমতার। সবুজ-মেরুনের উপর তাঁর সেই বিশ্বাস রয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘আপনারা বাংলার ধ্রুবতারা। বিশ্বজয় করতে হবে। আমি বিশ্বকাপ নিয়ে আসতে চাই।’’
সোমবার মমতা যে মোহনবাগান ক্লাবে যাবেন, আগেই জানিয়েছিলেন ক্লাবের সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষ। সেই মতো আগে থেকেই সব প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। আইএসএল-জয়ী দলের ফুটবলার থেকে শুরু করে কোচ— সবাই উপস্থিত ছিলেন ক্লাব তাঁবুতে। ছিলেন ক্লাবের সচিব দেবাশিস দত্ত, সভাপতি টুটু বসু। বাগান সমর্থকেরা ভিড় জমিয়েছিলেন অনেক আগে থেকেই।
মমতা ক্লাবে গিয়ে প্রথমেই বাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটাল ও কোচ জুয়ান ফেরান্দোর হাতে মিষ্টি তুলে দেন। ক্লাবকর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে সদ্য-জেতা আইএসএল ট্রফিটি তুলে দেন। বাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথের পাওয়া সেরা গোলরক্ষকের সোনার গ্লাভসও হাতে নিয়ে দেখেন মমতা। তার পরে একে একে সব ফুটবলারকে সংবর্ধনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। মোহনবাগান তাঁবুতে গিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারাও। তাঁরাও শুভেচ্ছা জানান পড়শি ক্লাবকে। আইএসএল জেতার জন্য মোহনবাগানকে ৫০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মমতা।