ইংরেজ ফুটবলার ক্লো কেলি। ছবি: রয়টার্স।
মেয়েদের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ক্লো কেলির পেনাল্টি থেকে নেওয়া শট অবাক করে দিয়েছে ফুটবলবিশ্বকে। বলের ভেতরে থাকা প্রযুক্তির সাহায্যে দেখা গিয়েছে, নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে পেনাল্টিতে করা গোলের সময় কেলির শটের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১১ কিমি। গত মরসুমে ছেলেদের প্রিমিয়ার লিগে যত শট হয়েছে, তার থেকেও বেশি এই শটের গতিবেগ। অর্থাৎ ছেলেদেরও হার মানিয়েছেন ইংল্যান্ডের মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক।
দু’দিন আগে নাইজেরিয়াকে পেনাল্টি শুট-আউটে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচে কেলি শট নিয়েছিলেন। শট নেওয়ার আগে হালকা লাফিয়ে উঠে গোলকিপারের ডান দিক দিয়ে সপাটে বল জালে জড়ান। টিভিতে বা মাঠে দেখে ততটা বোঝা যায়নি। কিন্তু ম্যাচের এক দিন পরে প্রযুক্তির সাহায্যে জানা গিয়েছে, সেই শটের গতিবেগ ছিল ১১০.৭৯ কিলোমিটার।
গত মরসুমে প্রিমিয়ার লিগে ওয়েস্ট হ্যামের সইদ বেনরাহমা দ্রুততম শটে গোল করেছিলেন। তাঁর শটের গতিবেগ ছিল ১০৭.২ কিলোমিটার। কিন্তু কেলির শটের গতিবেগ তার থেকেও চার কিলোমিটার বেশি।
তবে শটের থেকেও ম্যাচের পর কেলির একটি আচরণ মন কেড়ে নিয়েছে। হারের পর পোস্টের ধারে মাঠে শুয়ে পড়ে কাঁদছিলেন নাইজেরিয়ার গোলকিপার চিয়ামাকা নাডোজ়ি। সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাস না করে কেলি ছুটে যান বিপক্ষ গোলকিপারের কাছে। তাঁর পিঠে হাত থেকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। সেই মুহূর্ত ধরে রাখতে সামনে চলে গিয়েছিলেন এক ক্যামেরাম্যান। চিৎকার করে তাঁকে দূরে সরে যেতে বলেন কেলি।