প্রতীকী ছবি।
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে কলম্বিয়ার এক ফুটবলারকে খেলিয়েছে ইকুয়েডর। এমনই অভিযোগ তুলে কাতার বিশ্বকাপ থেকে ইকুয়েডরকে বহিস্কারের দাবি তুলেছে চিলি। ইকুয়েডর অবশ্য অভিযোগ মানতে চায়নি।
বিতর্কের কেন্দ্রে ইকুয়েডরের রাইট ব্যাক বায়রন ক্যাস্টিলো। বার্সেলোনায় লিওনেল মেসির প্রাক্তন সতীর্থের জন্মের শংসাপত্র এবং জন্মস্থানে নিয়ে অস্বচ্ছতা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইকুয়েডর তাঁকে তাদের নাগরিক বলে দাবি করলেও চিলির অভিযোগ, ক্যাস্টিলো আসলে কলম্বিয়ার নাগরিক। কাতার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ক্যাস্টিলো ইকুয়েডরের হয়ে আটটি ম্যাচ খেলেছিলেন।
বিশ্বকাপের গ্রুপ ‘এ’-তে ইকুয়েডর রয়েছে আয়োজক কাতার, সেনেগাল এবং নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে।
অন্য দিকে, চিলি এ বারের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। কলম্বিয়াও যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। দক্ষিণ আমেরিকার পাঁচটি দেশ বিশ্বকাপ খেলার ছাড়পত্র পেয়েছে এ বার। যোগ্যতা অর্জন পর্বে কলম্বিয়া ষষ্ঠ এবং চিলি সপ্তম স্থানে শেষ করে। চিলির দাবি ছিল কলম্বিয়ার ফুটবলারকে তথ্য গোপন করে খেলিয়েছে ইকুয়েডর। কলম্বিয়াও কোনও কারণে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেনি। তাই এই নিয়ম ভেঙে বিদেশি ফুটবলার খেলানোয় শাস্তি দেওয়া হোক ইকুয়েডরকে। কলম্বিয়াও চুপ থাকায় তাদেরও শাস্তি দেওয়া উচিত। সেই জায়গায় তাদের বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ দেওয়া উচিত। ফিফার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতেরও দ্বারস্থ হয় চিলির ফুটবল সংস্থা।
চিলির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ফিফা। শুক্রবার বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে, চিলির অভিযোগ ভিত্তিহীন। ইকুয়েডর ক্যাস্টিলোর নাগরিকত্ব সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জমা দিয়েছে। তার মধ্যে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতেও ফিফা সেই তথ্য জমা দেবে বলে জানিয়েছে। চিলি ফুটবল ফেডারেশন অবশ্য হাল ছাড়তে রাজি নয়। লুসানের আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে তারা এই বিতর্কের শেষ দেখতে চায়।