ফাইল চিত্র।
এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বেই কি ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে শেষ ম্যাচ খেলবেন সুনীল ছেত্রী? শুক্রবার দুপুরে রাজারহাটের টিম হোটেলে বাছাই করা সংবাদমাধ্যমের সামনে সেই জল্পনাই যেন উসকে দিলেন ভারত অধিনায়ক। সভাপতি প্রফুল্ল পটেলকে সরিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট তিন সদস্যের কমিটি (সিওএ) গড়ে দিয়েছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন পরিচালনার জন্য। অনেকেরই আশঙ্কা, এর ফলে ফিফা নির্বাসিত করতে পারে ভারতকে। সুনীল বললেন, ‘‘এই খবরটা শোনার পরে আমিও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। কারণ, এ রকম কিছু হলে দেশ জুড়ে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি হত। তা ছাড়া আমার বয়স এখন ৩৭। জানি না, আর কত দিন খেলতে পারব। এটাই আমার শেষ ম্যাচ হবে কি না, তা-ও জানি না। তবে আমার সামান্য জ্ঞান দিয়ে যা বুঝেছি, চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। আশা করছি, ফিফা নির্বাসিত করবে না। সব কিছু নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।’’
এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে যোগ্যতা অর্জনকে পাখির চোখ করার পাশাপাশি, নিজের জীবনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও সেরে ফেলেছেন ভারত অধিনায়ক। বললেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমাদের প্রত্যেকের একমাত্র লক্ষ্য এশিয়ান কাপের মূল পর্বে যোগ্যতা অর্জন করা। অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন, এটাই আমার শেষ এশিয়ান কাপ কি না। অবশ্য পাঁচ বছর আগেও এই প্রশ্নই শুনতে হয়েছিল। হয়তো আমার নিজের কাছেও এই প্রশ্নের উত্তর নেই। এখনও আমি সমান ভাবে উপভোগ করি উদান্তর (সিংহ) সঙ্গে দৌড়নো। জিঙ্ঘনের (সন্দেশ) সঙ্গে হেডের লড়াই। গুরপ্রীতকে গোল দেওয়া। যত দিন উপভোগ করব, ফুটবল চালিয়ে যাব। যে দিন থেকে খেলে আনন্দ পাব না, ছেড়ে দেব। এই কারণেই প্রত্যেকটি ম্যাচকেই আমার শেষ ম্যাচ মনে করে মাঠে নামি।’’ অবসর নেওয়ার পরে কোচিং না ফুটবল প্রশাসনে দেখা যাবে তাঁকে? সুনীল বললেন, ‘‘আমার ইচ্ছে জঙ্গলের মধ্যে একটা বাড়ি বানাব। কোলাহল, মোবাইল ফোন থেকে অনেক দূরে থাকতে চাই। প্রচুর বই পড়ব। জীবনকে উপভোগ করব। আর আত্মজীবনী লিখব।’’
সুনীল ছেত্রীর জীবন নিয়ে চলচ্চিত্র হবে না? ভারত অধিনায়কের কথায়, ‘‘অনেকেই আমার বায়োপিক করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। কিন্তু আমি খুব একটা উৎসাহী নই। আমার ইচ্ছে আত্মজীবনী লেখার। তবে সেটা ফুটবল ছাড়ার পরেই।’’
সরকারি ভাবে এখনও ঘোষণা না হলেও এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ দেখতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে নাকি মাত্র ১২ থেকে ১৫ হাজার দর্শককে খেলা দেখার অনুমতি দেওয়া হবে। কারণ, ভারতের সব ম্যাচ যে হেতু রাত সাড়ে আটটায়, তাই সেই সময় হাজার তিনেকের বেশি দর্শক নাকি মাঠে আসবেন না। এই কারণেই মাত্র ১২ হাজার বিনামূল্যের টিকিট বিলি করা হবে। এই খবর শুনে রীতিমতো বিস্মিত ভারতীয় দলের অধিনায়কের প্রশ্ন, ‘‘তা হলে ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়ে কী লাভ হল আমাদের?’’সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।