প্রতীকী ছবি।
পানামার সঙ্গে প্রীতি ম্যাচের সব আয়োজন সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। খেলা শুরু হতে বাকি ছিল মাত্র এক ঘণ্টা। তখনই ফুটবলারদের ধর্মঘটে ভেস্তে গেল কানাডা-পানামা প্রীতি ম্যাচ।
কানাডার ফুটবলাররা মাঠে নামতে রাজি হননি। কারণ, দেশের প্রস্তাবিত নতুন শ্রম আইনের প্রতিবাদে ধর্মঘটে সামিল হন তাঁরা। রবিবার ফুটবলারদের অনড় মনোভাবের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হলেন কানাডার ফুটবল কর্তারা। শেষ পর্যন্ত পানামার বিরুদ্ধে ম্যাচ বাতিলই করে দেন তাঁরা।
কানাডার জাতীয় ফুটবল দলের কোনও সদস্য এই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেননি। দলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘চুক্তির নতুন প্রস্তাব গত বৃহস্পতিবারই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। কানাডা সকারের (সে দেশের ফুটবল নিয়ামক সংস্থা) সঙ্গে জাতীয় দলের আলোচনা চলছে।’ অসন্তোষ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘২ জুন প্রস্তাব খারিজ করার পর ৪ জুন বিকালে কানাডা সকারের সভাপতি এবং সাধারণ সচিব আলোচনায় বসেন। কোনও সদর্থক আলোচনা হয়নি। তাই আমরা পানামার বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে পারছি না। কানাডার ফুটবলের ভবিষ্যতের স্বার্থেই আমাদের এই পদক্ষেপ করতে হচ্ছে।’
কানাডা সকারের পক্ষে পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘চুক্তি নিয়ে আলোচনার প্রক্রিয়াকে অপ্রয়োজনীয় দেরি করা হচ্ছে।’ ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে কানাডা। তার আগেই এই ডামাডোল কাতার বিশ্বকাপের প্রস্ততিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ম্যাচের পারিশ্রমিক, পুরস্কার মূল্যের অংশ, মহিলা ফুটবলের পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ একাধিক বিষয়ে আপত্তি তুলেছেন ফুটবলাররা। সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলা হয়েছে, ‘আমরা সমর্থকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। ঘরের মাঠে আপনাদের সামনে খেলাই আমাদের জন্য সবকিছু।’
কানাডা সকারের সভাপতি নিক বন্টিস ফুটবলারদের এক হাত নিয়েছেন। তাঁর দাবি, ফুটবলাররা অন্যায় করছেন। চুক্তি নিয়ে একমাত্র বাস্তবসম্মত আলোচনাই স্বাগত। তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় দল খেলতে চাইছে না। এটা হতাশাজনক। আমরা স্বচ্ছতা এবং সাম্য বজায় রাখতে আন্তরিক। আমাদের বিশ্বাস, ফুটবলাদের যথাযথ চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’ শেষ মুহূর্তে খেলা বাতিল হওয়ায় অসন্তুষ্ট পানামাও।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।