সফল: গোল করলেন। দলকে জয়ও উপহার দিলেন ব্রুনো। শনিবার ইপিএলে। ছবি: সংগৃহীত।
গত সপ্তাহে এতিহাদে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির কাছে ১-৩ গোলে হারের পরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ওল্ড ট্র্যাফোর্ড। শনিবার ঘরের মাঠে এভার্টনের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয় পায়ের নীচের জমি কিছুটা হলেও শক্ত করে দিল ম্যানেজার এরিক টেন হ্যাগের। গোল করলেন ব্রুনো ফার্নান্দেস ও মার্কাস র্যাশফোর্ড। ২৮ ম্যাচ ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে রয়েছে ম্যান ইউ।
ম্যাচের দুটি গোলই পেনাল্টি থেকে। ১২ মিনিটে বক্সের মধ্যে আলেহান্দ্রো গারনাচোকে অবৈধ ভাবে আটকান এভার্টন দলের অধিনায়ক জেমস তারকোস্কি। পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। গোল করে যান পর্তুগিজ তারকা ব্রুনো ফার্নান্দেস। ৩৬ মিনিটে আবারও পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়িয়ে যান র্যাশফোর্ড। এ বার তাঁকে অহেুক ঝুঁকি নিয়ে ফেলে দেন এভার্টন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। গোল করতে ভুল করেননি ব্রিটিশ তারকা। এই নিয়ে মরসুমে সাত নম্বর গোল হয়ে গেল র্যাশফোর্ডের।
কিন্তু শনিবারের জয়ের পরেও ম্যান ইউ ভক্তদের মধ্যে চাপা গুঞ্জন শুরু হয়েছে, আগামী মরসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূলপর্বে কি খেলতে পারবে প্রিয় দল। চলতি ইপিএলে এখনও হাতে রয়েছে ১২টি ম্যাচ। তবে সেখানে কঠিন প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে লিভারপুল, আর্সেনাল, চেলসির মতো দল। প্রথম চারে নিজেদের জায়গা করে নেওয়া কতটা সহজ হবে?
ম্যাচের পরে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে ম্যান ইউ-এর নতুন তারকা গারনাচো বলেছেন, ‘‘শেষ দুটো ম্যাচে বিশ্রী হারের পরে আমরা একটু কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলাম। তবে এই জয় স্বস্তি দিল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূলপর্বে খেলতে হলে এখন আমাদের সমস্ত ম্যাচ জিততে হবে।’’ যোগ করেন, ‘‘ম্যানেজার টেন হ্যাগ স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, সমস্ত ম্যাচই এখন ফাইনালের মতো। ফলে সে ভাবে নিজেদের তৈরি রাখতে হবে।’’
ম্যানেজার টেন হ্যাগও বলেছেন, ‘‘পরিস্থিতি এখনও আমাদের পক্ষে অনুকূল নয়। তবে এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে প্রয়োজন লড়াকু মনোভাব ও ধারাবাহিকতার। এই জয় দলের জন্য খুব প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছিল। না হলে আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরতে পারত। আশা করি, এই ছন্দ ধরে রাখতে পারব।’’
এ দিকে, আজ রবিবার অ্যানফিল্ডে শেষবারের মতো পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বিরুদ্ধে দলকে নিয়ে নামবেন লিভারপুল ম্যানেজার য়ুর্গেন ক্লপ। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘‘সেরা কোচ বেছে নেওয়ার শর্তটা কী, সেটা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। তবে যদি আমার সময় থেকে ধরা হয়, তা হলে বলতেই হবে গুয়ার্দিওলা-ই সেরা। হতে পারে মাঠে আমরা প্রতিপক্ষ, কিন্তু ওর ফুটবল-দর্শনের আমিও এক বড় ভক্ত। পেপ-এর সঙ্গে বৈরিতার প্রশ্নই উঠতে পারে না।’’
ক্লপের মন্তব্যে সম্মানিত পেপ-ও. তিনি বলেছেন, ‘‘উনি এমন একজন মানুষ, যাঁর সঙ্গে ফুটবল নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প করে দিন কাটিয়ে দেওয়া যায়। আমি ক্লপ-কে
সম্মান করি।’’