উচ্ছ্বাস: দলের দ্বিতীয় গোলের পরে কুতিনহো।
কাতার বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার ছাড়পত্র আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। এই মুহূর্তে পাঁচবারের বিশ্বসেরা ব্রাজিলের কাছে বাকি সব ম্যাচই নিয়মরক্ষার। তবু নেমার দা সিলভা স্যান্টোসকে ছাড়াই পেলের দেশ একই রকম দাপট দেখিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার যেমন প্যারাগুয়ে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারল না! বেলো ওরিজ়োন্তেতে ৪-০ জিতল ব্রাজিল। তা-ও শেষ চার মিনিটে দু’টি গোল করে। শেষ গোলটি আবার রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার রদ্রিগোর সিনিয়রের জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম গোল।
ব্রাজ়িলের রাফিনহা ২৮ মিনিটে মারকুইনহোসের বাড়ানো লম্বা পাস ধরে দু’জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ১-০ করেন। লিডস ইউনাইটেডের উইঙ্গার হ্যাটট্রিকও করতে পারতেন। ৯৩ সেকেন্ডে তাঁর একটি গোল বাতিল হয় ভিডিয়ো প্রযুক্তির সৌজন্যে। আর একবার তাঁর শট পোস্টে লাগে।
প্রায় ৩০ মিটার দূর থেকে মারা নিখুঁত শটে ৬২ মিনিটে ব্রাজিলের দ্বিতীয় গোলটি করেন ফিলিপে কুতিনহো। আর খেলা শেষ হওয়ার চার মিনিট আগে সাম্বার দেশ আরও দু’টি গোল পায় অ্যান্থনির অসাধারণ বাঁক খাওয়ানো শট ও সুযোগসন্ধানী রদ্রিগোর তৎপরতায়। এই হারে প্যারাগুয়ের কাতারে খেলার আশা শেষ হয়ে গেল। পাশাপাশি দক্ষিণ আমেরিকা গ্রুপের শীর্ষে যথারীতি ব্রাজিলই রয়ে গিয়েছে। ১৫ ম্যাচ খেলে একটিতেও হারেননি কাসেমিরোরা। শুধু তাই নয়, ব্রাজিল নিজের দেশে বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জনের খেলায় টানা ৬১ ম্যাচে অপরাজিত থাকল। নেমারদের দল ১৫ ম্যাচের ১২টিতে জিতেছে। তিনটি ড্র। পয়েন্ট ৩৯।