ভিনিসিয়াস জুনিয়র। —ফাইল চিত্র।
কোপা আমেরিকায় শুরুটা ভাল হয়নি ব্রাজিলের। প্রথম ম্যাচে ড্র করেছিল কোস্টারিকার বিরুদ্ধে। প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে আবার জয়ের পথে ফিরল ব্রাজিল। জোড়া গোল করলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। কোপা আমেরিকায় ৪-১ গোলে জিতল ব্রাজিল।
প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন ব্রাজিলের কোচ দোরিভাল জুনিয়র। সামনে রদ্রিগো। তাঁর পিছনে ভিনিসিয়াস জুনিয়র, লুকাস পাকুয়েটা এবং স্যাভিয়ো। এই চার জনের আক্রমণ সামলাতে পারছিলেন না প্যারাগুয়ের ফুটবলারেরা।
ম্যাচের ৩০ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পেয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু সেখান থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন পাকুয়েটা। গোলের মধ্যে বল রাখতেই পারেননি তিনি। ব্রাজিলের প্রথম গোলটি করেন ভিনিসিয়াস। ব্রাজিলের সাত নম্বর জার্সিধারী গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। পাকুয়েটার বাড়িয়ে দেওয়া থ্রু থেকে গোল করেন ভিনিসিয়াস। ৩৫ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় ব্রাজিল।
দ্বিতীয় গোল পেতে দেরি হয়নি। ৪৩ মিনিটের মাথায় গোল করেন স্যাভিয়ো। রদ্রিগোর গোলমুখী শট আটকে দিয়েছিলেন প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক মরিনিগো। কিন্তু বল ধরতে পারেননি তিনি। রক্ষণভাগের খেলোয়াড়েরা সেই বল ক্লিয়ার করতে পারেননি। সুযোগসন্ধানী স্যাভিয়ো দেরি করেননি। বল জালে জড়িয়ে দেন ২০ বছরের তরুণ ফুটবলার।
প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। অতিরিক্ত সময়ে আবার গোল করেন ভিনিসিয়াস। সেই সময় প্যারাগুয়ের রক্ষণভাগকে বেশ ছন্নছাড়া দেখাচ্ছিল। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ভিনিসিয়াসের পায়ে তুলে দিয়েছিলেন প্যারাগুয়ের ওমর অ্যাল্ডেরেট। গোল করতে ভুল করেননি রিয়াল মাদ্রিদের ভিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একটি গোল শোধ করে প্যারাগুয়ে। অ্যাল্ডেরেট গোল করেন। বক্সের বাইরে বুক দিয়ে বল নামান তিনি। ভলিতে গোল করেন অ্যাল্ডেরেট। ব্রাজিলের গোলরক্ষক অ্যালিসন সেই শট আটকাতে পারেননি।
৬৫ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে দলের চতুর্থ গোলটি করেন পাকুয়েটা। প্রথম বার ফস্কালেও এ বার তা হয়নি। প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক উল্টো দিকে ঝাঁপিয়েছিলেন। বল জালে জড়িয়ে দেন পাকুয়েটা।
ব্রাজিলের পরের ম্যাচ কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে। ৩ জুলাই ভোরে হবে সেই ম্যাচ। গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে কলম্বিয়া। ৬ পয়েন্ট পেয়েছে তারা। ৪ পয়েন্ট নিয়ে ব্রাজিল দ্বিতীয় স্থানে। শেষ ম্যাচ জিতলে গ্রুপ শীর্ষে চলে যাবে ব্রাজিল। হেরে গেলে তাকিয়ে থাকতে হবে কোস্টারিকা বনাম প্যারাগুয়ে ম্যাচের দিকে। ওই ম্যাচে কোস্টারিকা জিতলে তাদের ৪ পয়েন্ট হবে। তখন গোলপার্থক্যের বিচারে নক আউটে যাবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল।