রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে এল ক্লাসিকো জিতেছে বার্সেলোনা। ম্যাচ শেষে বার্সা ফুটবলারদের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স
৯২ মিনিট পর্যন্ত ১-১ থাকা খেলা শেষ মুহূর্তে জিতে নিল বার্সেলোনা। শেষ মিনিটে গোল করলেন বার্সার ফ্র্যাঙ্ক কেসি। শেষ তিনটি এল ক্লাসিকো জিতল কাতালান ক্লাব। রিয়াল মাদ্রিদকে হারানোয় লা লিগা জয়ের অনেক কাছে পৌঁছে গেল লিয়োনেল মেসির প্রাক্তন ক্লাব। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মাদ্রিদের থেকে ১২ পয়েন্ট এগিয়ে তারা।
২০১৯ সালের পর থেকে লা লিগা জিততে পারেনি বার্সেলোনা। মেসি, পিকেরা ক্লাব ছেড়ে দেওয়ার পরে নতুন করে দল সাজাতে হয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে ক্লাবকে তৈরি করেছেন জাভি। তার ফল এত দিনে পাচ্ছে বার্সা। এক ঝাঁক তরুণ ফুটবলার লিগ জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। মাদ্রিদকে হারানোয় সেই স্বপ্নের আরও এক ধাপ কাছে চলে গেলেন জাভিরা।
ঘরের মাঠে খেলার শুরুটা অবশ্য ভাল হয়নি বার্সার। কাতালান ক্লাবের ডিফেন্ডার আরাউজোর আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় মাদ্রিদ। তবে গোল খাওয়ার পরেও হতাশ হয়নি বার্সা। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। বিরতির ঠিক আগে সমতা ফেরান সের্খি রোবের্তো।
দ্বিতীয়ার্ধে বল জালে জড়ান মাদ্রিদের মার্কো আসেন্সিয়ো। কিন্তু ভার সেই গোল অফসাইডের কারণে বাতিল করে। জেতার জন্য মরিয়া ছিল বার্সেলোনা। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। কিন্তু গোল আসছিল না। দেখে মনে হচ্ছিল, খেলা ড্র হবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গোল করে ম্যাচ জিতে যায় বার্সা।
গত সপ্তাহেই বার্সার বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ করেছে মাদ্রিদ। এই নিয়ে স্পেনের আদালতে অভিযোগও করেছে তারা। তাই এই ম্যাচ ঘিরে আগে থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। দর্শকদের কাছে মাঠ ভরানোর আবেদন করেছিলেন জাভি। সেই দাবি মেনে মাঠ ভরিয়েছিলেন বার্সা সমর্থকরা। মাদ্রিদ ফুটবলারদের পায়ে বল পড়লেই শিস্ দিচ্ছিলেন তাঁরা। চাপের মধ্যে গোটা ম্যাচে গোল লক্ষ্য করে একটিও শট নিতে পারেনি মাদ্রিদ। শেষ পর্যন্ত ১-২ হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।