আগামী জুনে মেসিদের বাংলাদেশ সফর এখনও অনিশ্চিত। ফাইল ছবি।
আগামী জুন মাসে লিয়োনেল মেসিদের বাংলাদেশ সফর অনিশ্চিত। বাংলাদেশের একটি ওয়েব সাইটের খবর সেরকমই। তাদের দাবি, আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের বাংলাদেশ সফরে আসার বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
আর্জেন্টিনার ফুটবল দলকে আগামী জুন মাসে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলার জন্য বাংলাদেশ সফরে আনার ব্যাপারে কথা হচ্ছে বিশ্বকাপের পর থেকেই। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নয়, উপযুক্ত কোনও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলতে চায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সেই সফর এখনও নিশ্চিত নয়। আর্জেন্টিনার বিদেশমন্ত্রী আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো কোনও নিশ্চয়তা দিতে চাননি।
তিন দিনের সফরে এসে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন ক্যাফিয়েরো। তাঁর সঙ্গে আর্জেন্টিনার তিনটি ফুটবল ক্লাবের কর্তাও ছিলেন বৈঠকে। ফুটবলের উন্নতি নিয়ে নানা কথা হলেও আর্জেন্টিনার বিদেশমন্ত্রী প্রথম সফরেই কোনও সুনির্দিষ্ট আশ্বাস দেননি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আশা, দু’দেশের সম্পর্ক আগামী দিনে মজবুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র উন্মুক্ত হবে। ফুটবল নিয়েও গড়ে উঠবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। লাভবান হবে বাংলাদেশের ফুটবল।
বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নতির জন্য আর্জেন্টিনার সাহায্য চাইলেন খোদ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ সফরে আসা আর্জেন্টিনার বিদেশমন্ত্রীর কাছে দেশের ফুটবলের উন্নতিতে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন হাসিনা। যদিও
৪৫ বছর পর ঢাকায় নতুন করে দূতাবাস খুলেছে আর্জেন্টিনা। সেই অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ সফরে এসে আর্জেন্টিনার বিদেশমন্ত্রী ক্যাফিয়েরো সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন হাসিনার সঙ্গে। সেই সুযোগে বাংলাদেশের মানুষের আর্জেন্টিনার ফুটবলের প্রতি ভালবাসার কথা উল্লেখ করে সাহায্যের অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। হাসিনার দফতর থেকে এই খবর জানানো হয়েছে। তবে দুই নেতার মধ্যে ফুটবল নিয়ে ঠিক কী কী কথা হয়েছে, তা বিস্তারিত জানানো হয়নি। তাঁদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রসার নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যেই উঠেছে ফুটবলের প্রসঙ্গ। আর্জেন্টিনার দূতাবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও বহু মানুষ আর্জেন্টিনা নীল-সাদা জার্সি পরে উপস্থিত হয়েছিলেন। ক্যাফিয়েরোও দূতাবাসের অনুষ্ঠানে মেসিদের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের সমর্থনের কথা উল্লেখ করেন। গত বিশ্বকাপের সময় বাংলাদেশের মানুষ আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করায় তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
১৯৭৪ সালে ঢাকায় দূতাবাস খুলেছিল আর্জেন্টিনা। ১৯৭৮ সালে সামরিক জুন্টা সরকারের আমলে দূতাবাস বন্ধ করে দেয় লাতিন আমেরিকার দেশটি। তার পর ৪৫ বছর পর আবার বাংলাদেশে দূতাবাস খুলল আর্জেন্টিনা।