অভিষেক জানিয়ে দিলেন, এই ক্লাবে রাজনীতি চলবে না। বিজেপি, কংগ্রেস বা সিপিএম, যার সমর্থক বা সদস্যই হোন না কেন ক্লাবের দরজা সকলের জন্য খোলা। যে কেউ এই ক্লাবের সদস্য হতে পারবেন। যে কেউ খেলার সুযোগ পাবেন।
ক্লাবের লোগো প্রকাশ অনুষ্ঠানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
পয়লা বৈশাখে আত্মপ্রকাশ করল আরও একটি ফুটবল ক্লাব। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাবের (ডিএইচএফসি) লোগো উদ্বোধন হল শুক্রবার। আবির্ভাবেই কলকাতা ফুটবল লিগের প্রথম ডিভিশনে খেলবে ডিএইচএফসি।
অভিষেক জানিয়ে দিলেন, এই ক্লাবে রাজনীতি চলবে না। বিজেপি, কংগ্রেস বা সিপিএম, যার সমর্থক বা সদস্যই হোন না কেন ক্লাবের দরজা সকলের জন্য খোলা। যে কেউ এই ক্লাবের সদস্য হতে পারবেন। যে কেউ খেলার সুযোগ পাবেন। রাজনীতির মতোই জাতি, ধর্ম, বর্ণের ভেদাভেদকেও এই ক্লাবের চৌকাঠ মাড়াতে দিতে চান না তিনি। অভিষেক তাঁর হোয়াটস অ্যাপের ডিপিতেও ব্যবহার করেছেন ডিএইচএফসি-র লোগো। এর থেকেই বোঝা যায়, ডিএইচএফসি-র সঙ্গে তিনি কতটা একাত্ম।
প্রথম বছরেই কলকাতা ফুটবল লিগের প্রথম ডিভিশনে খেলবে ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব। লক্ষ্য আগামী দু’-এক বছরে মধ্যে প্রিমিয়ার ডিভিশন খেলা। অভিষেক জানিয়েছেন, সম্ভব হলে ভবিষ্যতে আইএসএল-ও খেলবে ডিএইচএফসি। বাংলার ফুটবলকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে চান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। অভিষেক বলেছেন, ‘‘এমপি কাপ করতে গিয়ে দেখেছি এখানে সুযোগ সুবিধার সমস্যা রয়েছে। এখানে খেলোয়াড়ের অভাব নেই। বাইরে থেকে লোক এসে এখান থেকে ফুটবলার নিয়ে যায়। আমরা ফুটবলারদের সব রকম সুযোগ সুবিধার দিকে খেয়াল রাখব। প্রতিভার প্রতি সুবিচার করা হবে।’’
ডিএইচএফসি-র লোগো প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, সাংসদ তথা প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক অশোক দেব, প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য, রহিম নবি। অনুষ্ঠান মঞ্চে থাকা কুণাল ঘোষকে মজা করে অভিষেক বলেন, ‘‘মোহনবাগান সহ-সভাপতি হয়েছেন। এবার কিন্তু আপনার সঙ্গে খেলা হবে।’’