অ্যাস্টন ভিলার হয়ে খুব ভাল খেলেছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। তার পরেই তাঁকে নিয়ে কোচের মন্তব্য বদলে গিয়েছে। —ফাইল চিত্র
কয়েক দিন আগেই শোনা গিয়েছিল, এমিলিয়ানো মার্তিনেসের ব্যবহারে খুশি নন অ্যাস্টন ভিলার কোচ উনাই এমেরি। বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতলেও ক্লাব থেকে ছাঁটাই হতে পারেন আর্জেন্টিনার মার্তিনেস। প্রথম একাদশে জায়গা পাচ্ছিলেন না তিনি। কিন্তু হঠাৎই সুর বদলে গেল অ্যাস্টন ভিলার কোচের। তিনি প্রশংসা করলেন মার্তিনেসের।
লিডস ইউনাইটেডকে ২-১ হারিয়েছে ভিলা। সেই জয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে মার্তিনেসের। অন্তত দু’টি নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন তিনি। খেলা শেষে এমেরি বলেছেন, ‘‘আমরা একে অপরকে শ্রদ্ধা করি। দেশের হয়ে মার্তিনেস কী খেলেছে সেটা সবাই জানি। লিডসের বিরুদ্ধে খুব ভাল খেলেছে মার্তিনেস। তবে এর বেশি কিছু বলব না।’’
এমেরি যখন আর্সেনালের কোচ ছিলেন তখন সেই ক্লাবে খেলতেন মার্তিনেস। সেই সময় থেকে তাঁকে দেখছেন দলের কোচ। এমেরি বলেছেন, ‘‘আর্সেনালেও আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। ও আমাকে বরাবরই শ্রদ্ধা করে। ১৮ বছর বয়সে লন্ডনে এসেছিল মার্তিনেস। তার পরে দীর্ঘ পথ পেরিয়েছে। ওকে নিয়ে আমার গর্ব হয়।’’
কয়েক দিন আগে ইউরোপের ফুটবলে ট্রান্সফার সংক্রান্ত সব থেকে বড় সংস্থা ‘ফিকাজেস’ জানিয়েছিল, মার্তিনেসকে তাড়াতে হঠাৎই সক্রিয় হয়ে উঠেছে তাঁর ক্লাব। বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়ে পড়া এই গোলকিপারকে রাখতে চাইছেন না কোচ। মার্তিনেসের মেজাজ এবং আচার-আচরণ নিয়ে একেবারেই সন্তুষ্ট নন এমেরি। তাঁকে দল থেকে বার করে দিতে চান। জানুয়ারিতে ট্রান্সফার উইন্ডো শুরু হলেই তাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হতে পারে। সেভিয়ার ইয়াসিন বুনুকে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিশ্বকাপে গোলকিপারদের মধ্যে মার্তিনেস এবং ক্রোয়েশিয়ার ডমিনিক লিভাকোভিচের পাশাপাশি নজর কেড়েছিলেন মরক্কোর বুনুও।
বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়েছেন মার্তিনেস। ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পিছনে অন্যতম বড় কারণও তিনি। কিন্তু বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে বিতর্কে জড়িয়েছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। সোনার গ্লাভস নিয়ে তাঁর অঙ্গভঙ্গি থেকে শুরু করে দেশে ফিরে কিলিয়ান এমবাপের পুতুল নিয়ে উল্লাস, বার বার খবরের শিরোনামে তিনি। মার্তিনেসের বিরুদ্ধে ফিফার কাছে অভিযোগ করেছে ফ্রান্স। অবশেষে সেই ঘটনায় পদক্ষেপ করেছে ফিফা।
ফুটবলের বিশ্ব নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে, ‘‘ফিফার নিয়মের ১১,১২ ও ৪৪ নম্বর ধারা ভেঙেছেন মার্তিনেস। তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু যদি দোষ প্রমাণিত হয় তা হলে মার্তিনেসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।’’ বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই এমবাপেকে বিদ্রুপ করে চলেছেন মার্তিনেস। আর্জেন্টিনায় ফিরে বিজয় উৎসবের সময়ও মার্তিনেসের হাতে ছিল একটি পুতুল। পুতুলের মুখে এমবাপের মুখের ছবি কেটে বসিয়ে দিয়েছিলেন মার্তিনেস। তাঁর এই আচরণ অত্যন্ত অপমানজনক মনে হয়েছে ফ্রান্সের ফুটবল সংস্থার। প্রতিবাদ জানিয়ে আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থার সভাপতি ক্লদিয়ো তাপিয়াকে চিঠি দেন ফ্রান্সের ফুটবল সংস্থার সভাপতি নোয়েল লে গ্রায়েট। ফাইনালে জয়ের দিন সাজঘরে এমবাপের নাম করে কুৎসিত গান গাইতেও দেখা যায় তাঁকে।