বিশ্বকাপের পর থেকেই নানা কারণে খবরের শিরোনামে মার্তিনেস। ছবি: টুইটার।
বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেশ যেন কাটছেই না আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের। খেলোয়াড় জীবনের স্বপ্ন পূরণ হওয়ার স্মৃতি আঁকড়ে থাকতে চাইছেন তাঁরা। একেক জন একেক ভাবে বিশ্বকাপকে জড়িয়ে থাকছেন। লিয়োনেস মেসির অন্যতম সতীর্থ পাপু গোমেজ় শরীরে আঁকিয়েছেন একাধিক ট্যাটু।
তবে নিছক ট্যাটু নয়। বলা যেতে পারে বিশ্বজয়ের দলিল। পায়ে একাধিক ট্যাটু করিয়েছেন গোমেজ়। সেগুলির ছবি ভাগ করে নিয়েছেন ফুটবলপ্রেমীদের সঙ্গে। বিশ্বকাপ ট্রফির একটি ট্যাটু করিয়েছেন বাঁ পায়ে। হলুদ, কালো এবং সবুজ রং দিয়ে করা ট্যাটুটি ত্রিমাত্রিক। বিশ্বকাপ ট্রফির উপর রয়েছে আর্জেন্টিনার তৃতীয় বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রতীক তিনটি তারা। নীচে লেখা রয়েছে বিশ্বকাপ ফাইনালের তারিখ। বাঁ পায়েরই কাফ মাসলে আঁকিয়েছেন এ বারের বিশ্বকাপের নিজের ১৭ নম্বর জার্সির ছবি। এই ট্যাটুর চার পাশে রয়েছে আরও কয়েকটি পুরনো ট্যাটু।
সব থেকে আকর্ষণীয় হল গোমেজ়ের নতুন তৃতীয় ট্যাটুটি। যে ট্যাটুতে তিনি সম্মান জানিয়েছেন প্রিয় সতীর্থকে। তিনি মেসি নন। তাঁর আদরের দিবু। বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেসের ছবি আঁকিয়েছেন তিনি। প্রিয় সতীর্থের এমনি ছবি নয়, এক বিশেষ মুহূর্তের ছবি। যে মুহূর্ত বাঁচিয়ে রেখেছিল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের আশা। অতিরিক্ত সময় শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে ফ্রান্সের কোলো মুয়ানি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। মার্তিনেস এগিয়ে এসে কোণ ছোট করে দেন। মুয়ানির শট মার্তিনেসের বাঁ পায়ের উরুতে লেগে প্রতিহত হয়। ফাইনালের বয়স তখন ছিল ১২২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড। মুয়ানি সেই সুযোগ থেকে গোল করতে পারলে মেসিদের বিশ্বজয়ের স্বপ্ন এ বারও পূরণ হত না। মার্তিনেসের সেই মুহূর্তের ভঙ্গিই উঠে এসেছে গোমেজ়ের তৃতীয় ট্যাটুতে। সঙ্গে উল্লেখ রয়েছে সময়ও। অর্থাৎ, বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক এখন সতীর্থের পায়ে পায়ে ঘুরছেন। এ ভাবেই প্রিয় সতীর্থকে সম্মান জানিয়েছেন গোমেজ়।
কয়েক দিন আগে আর্জেন্টিনার কৃত্রিম উপগ্রহ নির্মাতা সংস্থা ইনোভা স্পেসও মার্তিনেসকে বিশেষ ভাবে সম্মানিত করেছে। দু’টি ছোট কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে তারা। সেই উপগ্রহ দু’টি মহাকাশের নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপন করেছে ইলন মাস্কের মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থা। মহাকাশের যে দু’টি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হয়েছে, তার একটির নামকরণ করা হয়েছে মার্তিনেসের নামে।